কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত হঠাৎ করে কয়েকশ টন বর্জ্যে সয়লাব হয়ে গেছে। প্লাস্টিক, ইলেকট্রনিক বর্জ্যরে সঙ্গে ভেসে এসেছে ছেঁড়া নাইলনের জাল। এতে আটকে মারা যাচ্ছে সামুদ্রিক প্রাণী। কক্সবাজারের দরিয়ানগর থেকে হিমছড়ি পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে এসব বর্জ্য।
বর্জ্যরে সঙ্গে ভেসে আসা নাইলনের ছেঁড়া জালে আটকা পড়ে মারা গেছে অন্তত ১০টি সামুদ্রিক কচ্ছপ। স্থানীয় কিছু তরুণ বর্জ্যগুলো সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে গতকাল দুপুর পর্যন্ত কোনো সরকারি সংস্থাকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। কক্সবাজার ভিত্তিক পরিবেশবাদী সংগঠন সেভ দ্য নেচারের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম রিয়াদ বলেন, ‘শনিবার রাত থেকে এসব বর্জ্য আসতে শুরু করেছে। এর মধ্যে প্লাস্টিক, ইলেকট্রনিক বর্জ্য আর ছেঁড়া জাল দেখা গেছে। আমরা কক্সবাজারে বিভিন্ন সরকারি দফতরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ) আবু নাছের মো. ইয়াছিন বলেন, ‘প্লাস্টিকসহ নানা ধরনের বর্জ্যে আটকা পড়েছে কাছিম। আমরা ঘটনাস্থলে একটা টিম পাঠিয়েছি। তারা কাছিমগুলোর চিকিৎসা নিশ্চিত করবে এবং সুস্থগুলোকে সাগরে ফিরিয়ে দেবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘সাগরে শক্ত মনিটরিং না থাকায় বিদেশি জাহাজ থেকে বর্জ্য ফেলা হয়। এর কারণে সমুদ্রের ভয়ানক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এসব প্লাস্টিক বর্জ্যরে কণা মাছের খাদ্য শৃঙ্খলে প্রবেশ করে শেষ পর্যন্ত মানবদেহে চলে আসছে।