মামুনুর রশিদ টিটু, ভোলা প্রতিনিধি: আগুনের ফুলকিতে গরম লোহায় দিন রাত হাতুড়ির টুং টাং শব্দে মুখরিত ভোলার কামারশালাগুলো। আর মাত্র কয়দিন পরই ঈদ-উল-আযহা। দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই ব্যস্ততা বাড়ছে ভোলার কামারশালাগুলোতে।
আধুনিক প্রযুক্তির ছোয়ায় কামারশালা প্রায় বিলুপ্তে পথে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারছেনা এ শিল্পের সাথে জড়িতরা। প্রযুক্তির দাপটে ক্রমেই বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে এ শিল্প। বছরের বাকী ১১ মাস কামারশালায় কোনো কাজ থাকে না বললেই চলে। কাজ না থাকায় জীবিকার তাগিদে অনেকেই এ পেশা থেকে অন্য পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করছে।
ইদানিং ঈদ-উল-আযহাকে সামনে রেখে ব্যাপক ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছে ভোলার কামররা। ওস্তাদ ও সাগরিকদের যেন দম ফেলার সুযোগ নেই। পশু কোরবানির মধ্যে দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় শেষ মূহুর্তে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। আর এসব পশু কাটাকাটিতে চাই দা, ছুড়ি, বটি, চাপাতি, কুড়াল ইত্যাদি।
কামার প্রদিপ দাস বলেন, কামারশালার এখন আর আগের সেই স্বর্ণযুগ আর নেই। বর্তমান যুগটা প্রযুক্তির ছোয়ার উপর নির্ভর হয়ে পরেছেন, তাইতো আমাদের তৈরি করা পণ্যের চাহিদা দিন দিন কমে যাচ্ছে।
কামার স্বপন কর্মকার জানান, অনেকেই কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য বড় ছোট ছুরি, চাপাতি, চাকু নতুন করে বানিয়ে নিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ পুরাতন জিনিসপত্র সংস্কার করতে নিয়ে আসছে তাদের কাছে।
অধিকাংশ দোকানীই তাদের নিজেদের তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করছেন। আবার কিছু মৌসুমী ব্যবসায়ী আছে যারা শুধু ঈদের সময়ই এ ব্যবসা করে থাকেন। সব মিলিয়ে দিন থেকে মধ্যরাত অবদি জেগে থেকে কাজ করে ভালোই কাটছে ভোলার কামারশালার কামারদের।