লক্ষ্মীপুরে আলোচিত ধর্ষণের পর হত্যার শিকার স্কুলছাত্রী হীরামনির বিচার না দেখেই মারা গেলেন বাবা হারুনুর রশিদ।
শনিবার সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামে নিজ বাড়িতেই তিনি মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন।
তিনি হীরামনি ধর্ষণ ও হত্যার পর গণমাধ্যমের কাছে আকুতি জানিয়েছিলেন, মৃত্যুর আগে যেন মেয়ের হত্যাকারীদের চিনতে পারেন ও বিচার দেখে যেতে পারেন। কিন্তু তা আর হলো না।
মৃত্যুর বিষয়টি গোপীনাথপুর চম্পকা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি নিজাম উদ্দিন রনি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তিনি দীর্ঘদিন ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। মেয়ে হত্যার পর তিনি আরো ভেঙে পড়েন। জীবদ্দশায় তিনি মেয়ে হত্যার বিচার দেখে যেতে পারেননি।
১২ জুন দুপুরে ঘরে একা পেয়ে পালেরহাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী হীরামনিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। ঘটনাটি দেশব্যাপী আলোচিত হয়। দেশের বিভিন্ন জেলায় হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।
এদিকে এঘটনায় তরিকুল ইসলাম অয়ন, সুমন হোসেন ও আরিফ হোসেন নামে তিনজন কারাগারে আছে। তবে এখনো পর্যন্ত হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজিজুর রহমান মিয়া বলেন, নিহতের ডাক্তারি রিপোর্টের জন্য হত্যার মূল রহস্য উদ্ঘাটন করা যাচ্ছে না। এটি আসলে হত্যাকারী শনাক্ত হবে। এর মধ্যে আসামিদের রিমান্ডে এনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।