সারা দেশে ১২ হাজার পাঁচশ ৪৩টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক লাইসেন্স নবায়নের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আবেদন করেছে।
তবে কতটি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের লাইসেন্স নেই তার কোনো তথ্য অধিদপ্তরের কাছে নেই।
এ বিষয়ে অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) মো. ফরিদ হোসেন মিয়ার দেওয়া এই তথ্য আদালতকে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত। মানবাধিকার সংগঠন চিলড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের পরিচালক ইশরাত হাসানের করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ তথ্য জানানো হয়।
হাইকোর্ট গত ৩১ আগস্ট এক আদেশে সারা দেশে বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে কতটির লাইসেন্স আছে ও কতটির লাইসেন্স নেই তার তথ্য জানতে চেয়েছিলেন। এ কারণে সংশ্লিষ্ট আদালতে দায়িত্বরত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত অধিদপ্তরের কাছে এসব তথ্য জানতে চান।
এরপর অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) মো. ফরিদ হোসেন মিয়ার স্বাক্ষরে সংশ্লিষ্ট তথ্য জানানো হয় রাষ্ট্রপক্ষকে। বুধবার এই তথ্য পাবার পর তা আদালতকে অবহিত করেন তিনি।
কভিড এবং নন-কভিড হাসপাতালের সংখ্যা, নাম স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে রয়েছে। লাইসেন্সধারী বেসরকারি হাসপাতালের তালিকা সরকারের কাছে আছে। কিন্তু কতগুলোর লাইসেন্স নেই, তার কোনো তালিকা নেই। লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাগুলোর বিরুদ্ধে সরকার কর্তৃক অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনো অবহেলার ঘটনা ঘটলে সে সম্পর্কে প্রতিকার প্রার্থনা করে স্বাস্থ্য বাতায়নে অভিযোগ করা যায়। জনগণ যেকোনো সময় অভিযোগ করতে পারে।
রিট আবেদনকারীপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। এরপর আদালত রিট আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়ার আদেশ দেন।
ওই রিট আবেদনে করোনা পরীক্ষাকারী হাসপাতাল ও ডায়াগনিস্টক সেন্টারের তালিকা প্রকাশ, চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য সারা দেশে লাইসেন্সপ্রাপ্ত হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নাম ও সংখ্যা প্রকাশ, যেসব হাসপাতালে করোনার পরীক্ষা ও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে সেসব হাসপাতাল মনিটরিংয়ে প্রত্যেক থানায় একটি করে কমিটি গঠন, রিজেন্ট থেকে ভুয়া করোনার সনদ দেওয়া ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রকাশ, রিজেন্টের প্রতারণার শিকার প্রত্যেক রোগী থেকে নেওয়া ফি ক্ষতিপূরণসহ (২৫ হাজার টাকা করে) ফেরত প্রদান, করোনার সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতি সপ্তাহে তাদের সেবা নিয়ে পরিপূর্ণ একটি প্রতিবেদন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠায় সে জন্য একটি নীতিমালা করার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
করোনার ভুয়া সনদ দেওয়ার অভিযোগে গত ৭ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের দুটি শাখা (উত্তরা ও মিরপুর) বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এরপর গত ১৯ জুলাই এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু নোটিশের জবাব না পেয়ে রিট আবেদন করা হয়।