সকল কারখানায় বেতন-বোনাস ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে পরিশোধ না করা হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র (গার্মেন্ট শ্রমিক টিইউসি)। সংগঠনের পক্ষ থেকে ছাঁটাই-নির্যাতন-দমননীতি বন্ধ ও চাকুরিচ্যুত শ্রমিকদের চাকুরিতে পুনর্বহালের দাবি জানান।
সংগঠনের সভাপতি মন্টু ঘোষের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃব্য রাখেন কার্যকরী সভাপতি কাজী মো. রুহুল আমিন, সাবেক কার্যকরী সভাপতি সাদেকুর রহমান শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক খাইরুল মামুন মিন্টু, কেন্দ্রীয় নেতা দুলাল সাহা, সফিকুল ইসলাম পাংখা, ড্রাগন সোয়েটারের নেতা আ. কুদ্দুস, ফকির নিটওয়্যারের নেতা মনোয়ার হোসেন, ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার করোনা পরিস্থিতির শুরুতেই শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের জন্য সহজ শর্তে নামমাত্র সুদে ৫ হাজার কোটি টাকা গার্মেন্ট মালিকদের প্রদান করে শ্রমিকদের চাকুরিচ্যুত ও কারখানা লে-অফ করা হবে না মর্মে আশ্বাস দিলেও টাকা নেওয়ার পরে সম্পূর্ণরূপে বিশ্বাসঘাতকতা করে লক্ষাধিক শ্রমিককে চাকুরিচ্যুত ও বেশকিছু কারখানা বন্ধ হয়েছে। আইনানুগ পাওনা দেওয়া হচ্ছে না। পাওনা প্রাপ্তির আন্দোলন করার ফলে মামলা-হামলা, হয়রানি করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার করে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে।
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়।
করোনা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে আবারো রাষ্ট্রের নিকট থেকে ১০ হাজার কোটি পেতে উৎগ্রীব গার্মেন্ট মালিকরা। কিন্তু শ্রমিকদের দুঃখ-দুর্দশাকে বিবেচনায় নিচ্ছে না। সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শ্রমিক-কর্মচারী মেহনতি মানুষকে প্রতিটি কারখানায় ও শিল্পাঞ্চলে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।
নেতৃবৃন্দ সরকার ও মালিকদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বোনাস-বেতন নিয়ে টালবাহানা করলে শ্রমিকদের চাকুরিচ্যুত করলে তার দাঁত ভাঙা জবাব দেবে এদেশের শ্রমিক সমাজ।