ড্রাগন গ্রুপের শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড, সার্ভিস বেনিফিট, অর্জিত ছুটির টাকাসহ সকল আইনানুগ পাওনা পরিশোধের দাবি জানিয়েছে ড্রাগন গ্রুপের দুটি কারখানার শ্রমিকরা।
তারা আগামী ৩১ আগস্ট (সোমবার) থেকে শ্রম ভবনে লাগাতর অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ মুক্তিভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ড্রাগন গ্রুপ শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির সমন্বয়ক আব্দুল কুদ্দুস।
উপস্থিত ছিলেন গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান শামীম, জাতীয় শ্রমিক জোটের কেন্দ্রীয় নেতা আমির হামজা খান, গার্মেন্ট টিইউসি’র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মঞ্জুর মঈন, শ্রমিকনেতা রিফাত হাবিব প্রমুখ।
ড্রাগন গ্রুপের দুটি কারখানা ড্রাগন সোয়েটার লিমিটেড এবং ইম্পেরিয়াল সোয়েটার লিমিটেড ঢাকার মালিবাগে নিজস্ব ১৭তলা ভবনে অবস্থিত। মালিকপ করোনা মহামারির সুযোগ নিয়ে এপ্রিল মাস থেকে কারখানা বন্ধ রেখেছে। শ্রমিকের সমগ্র চাকরি জীবনের আইনানুগ পাওনা অর্থাৎ সার্ভিস বেনিফিট, শ্রমিকদের বেতন থেকে প্রতি মাসে প্রভিডেন্ট ফান্ড বাবদ কেটে রাখা মোট বেতনের ৭ শতাংশ ও তার সাথে আইন অনুযায়ী মালিকের জমাকৃত সমপরিমাণ অর্থ, অর্জিত ছুটির টাকা এবং দুই মাসের বকেয়া বেতন ইত্যাদি পাওনা পরিশোধে অস্বীকার করে শ্রমিকদের বিদায় করে দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে মালিক স্থায়ী শ্রমিকদের বাদ দিয়ে একই ভবনে ভিন্ন একটি কারখানার নামে ঠিকা ভিত্তিতে অস্থায়ী শ্রমিক দিয়ে সীমিত পরিসরে উৎপাদন চালাচ্ছে। আর শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করছে।
অসহায় ও নিরন্ন শ্রমিকরা দ্বারে দ্বারে ঘুরে কোনো সুরাহা না পেয়ে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা আগামী সোমবার থেকে ‘অক্যুপাই শ্রম ভবন’ কর্মসূচি পালন করবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিজয় নগরে অবস্থিত শ্রম ভবনে লাগাতর অবস্থান করে আন্দোলন পরিচালনা করবে।
লাগাতার কর্মসূচি চলাকালে মালিকের বাসভবন ঘেরাও, বিজিএমইএ ঘেরাও এবং গণভবন অভিমুখে ভুখা মিছিল কর্মসূচি পালিত হবে।
নেতৃবৃন্দ সমাজের অপরাপর শ্রেণি-পেশার বিবেকবান মানুষের কাছে শ্রমিকদের এই আন্দোলনে সমর্থন ও সংহতি জানিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।