শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজসহ পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করার অনুমোদন সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। প্রতিষ্ঠান পাঁচটি হলো— শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ, কেয়ার মেডিকেল কলেজ, থাইরোকেয়ার বাংলাদেশ লিমিটেড, স্টেমজ হেলথকেয়ার ও এপিক হেলথকেয়ার।
আরটি-পিসিআর ল্যাবের অনুমোদন দেওয়া হলেও আজ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করতে ব্যর্থ হয়েছে। সে কারণে কোভিড-১৯ আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করার অনুমোদন সাময়িকভাবে স্থগিত করা হলো।
প্রতিষ্ঠানগুলো ফের আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা করতে চাইলে তাদের ল্যাবরেটরি সম্পূর্ণভাবে এই পরীক্ষা চালিয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত জানিয়ে ফের অধিদফতরে আবেদন করতে হবে। কোভিড-১৯ আরটি পিসিআর মেশিন ও আমদানি করা কিটের অনাপত্তিপত্র ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর থেকে নিতে হবে। পরবর্তী সময়ে সরেজমিনে পরিদর্শনের প্রতিবেদন অনুযায়ী আবেদন সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে
অনুমোদন ছাড়াই অ্যান্টিবডি টেস্ট করাচ্ছে শাহাবুদ্দিন মেডিকেল!’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ৫ জুন শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ নমুনা পরীক্ষা করানোর জন্য পিসিআর ল্যাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে তারা পিসিআর পরীক্ষা না করিয়ে অ্যান্টিবডি টেস্ট চালিয়ে আসছিল। আর এর জন্য সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা নিচ্ছিল। ল্যাবের কাজ শুরু না হওয়ার তাদের চিঠি পাঠানো হয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে।
পিড টেস্ট কিটের অনুমোদন দেয়নি সরকার। এভাবে যদি কেউ নমুনা পরীক্ষা করে, তবে তা অনৈতিক। আর হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার খরচ সর্বোচ্চ সাড়ে তিন হাজার টাকা নির্ধারণ করা আছে।’
সার্ভিস চার্জ হিসেবে ৫০০ টাকা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যদি কেউ এর বেশি নিয়ে থাকে তবে সেটাও অনৈতিক। শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ পিসিআর ল্যাবের অনুমোদন পেয়েছে। কিন্তু এখনো তারা কাজ শুরু করেনি। এ বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। তারা উত্তরে জানিয়েছে, আগস্টের দিকে তারা পিসিআর মেশিনে নমুনা পরীক্ষা শুরু করবে। তবে করোনা পরীক্ষার জন্য সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা তারা কোনোভাবেই নিতে পারে না।’