ভোলার গুটিকয়েক ঠিকাদারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও ব্যক্তি স্বার্থে ভোলা-৪ আসনের সংসদ সদস্য, সাবেক উপমন্ত্রী জননেতা আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব সম্পর্কে অসৌজন্যমুলক আপত্তিকর বক্তব্য ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে চরফ্যাসনে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় চরফ্যাসন প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, চরফ্যাসন উপজেলা শাখার আয়োজনে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন আখন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ভিপি, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মনির আহমেদ শুভ্র বক্তৃতা করেন।
লিখিত বক্তব্যে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ভিপি বলেন, গত ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০খ্রি. তারিখে ভোলা এল.জি.ই.ডি অফিসের সামনে কতিপয় ঠিকাদার পরিচয়দানকারী ভোলা-৪ আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য মহোদয়ের বিরুদ্ধে যে অসৌজন্যমূলক ও আপত্তিকর শ্লোগান দিয়েছে, আমরা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ চরফ্যাসন উপজেলা শাখা ও সর্বস্তরের জনসাধারনের পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাই। এটা উদ্দেশ্যে মূলক ও সুপরিকল্পিত এবং দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ। চরফ্যাসন-মনপুরার ঈর্ষণীয় উন্নয়নও এর অন্যতম কারণ।
আমরা সংশ্লিষ্ট সকলকে অবগত করতে চাই যে,
১। উক্ত গুটিকয়েক ঠিকাদারের সাথে গত ৩/৪ বছরের মধ্যেও ভোলা-৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য মহোদয়ের দেখা হয়নি এবং কয়েকজনের সাথে কোন সময়ই দেখা হয়নি।
২। তাদের সাথে চরফ্যাসন-মনপুরার কোন কাজ নিয়ে কখনোই এম.পি মহোদয়ের সাথে কোন কথা, আলোচনা বা যোগাযোগ হয়নি।
৩। এমনকি তাদের সাথে মোবাইল ফোনেও স্থানীয় এম.পি মহোদয়ের সাথে কোন কথা হয়নি। এ সমস্ত কথার কোনটিরই প্রমাণ তারা দিতে পারবে না।
৪ এদের কেউ কাজ করতে এম.পি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাৎকার, কোন সমস্যা অবহিত করেছেন বা তার কোন সহযোগিতা চেয়েছেন এমন কোন প্রমাণও তাদের কাছে নেই।
৫। চরফ্যাসন উপজেলা প্রকৌশলীর রেফারেন্স দিয়ে তারা যে পার্সেন্টিজ এর কথা বলেছেন তাও সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
উপজেলা প্রকৌশলী আমাদেরকে জানিয়েছেন, যারা কাজ করতে এসেছে এবং সাইড বুঝে নিতে এসেছে তারা কেউই মূল ঠিকাদার নয়। একজন ঠিকাদারের কাজ অন্যজন করতে এসেছে।
উপজেলা প্রকৌশলী জানান, সরকারি বিধি অনুযায়ী মূল ঠিকাদার ব্যতীত জন্য কাউকে কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার কোন বিধান নেই। তাছাড়া জন্য একজনের (উপজেলা প্রকৌশলী) রেফারেন্স দিয়ে একজন মাননীয় সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে এ ধরনের নোংরা স্লোগান দেওয়া একটি ষড়যন্ত্রমূলক ও রাজলৈতিক শিষ্টাচার বর্হিভূত ঘটনা এবং অসুস্থ মানসিকতার বহিপ্রকাশ।
এ ধরনের ঘটনা ভোলায় ইতিপূর্বেও ঘটেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিডিশন-২ চরফ্যাসনে স্থানান্তরের পর কতিপয় স্বার্থ পরিপন্থী ঠিকাদার একই জাতীয় ঘটনা ঘটিয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ভোলা সদর থেকে আদালত স্থানাত্তরের পর কিছু স্বার্থ পরিপন্থী আইনজীবী রাজনৈতিক পৃষ্টপোষকতায় ভোলা সদরে মিছিল, মিটিং, মানববন্ধন সহ হরতাল পালন করেছিল। এমনকি চরফ্যাসনে আদালত যাতে স্থানাস্তর হতে না পারে সেজন্য উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করেছিল।
কিন্তু আমাদের চরফ্যাসনের স্থানীয় সংসদ সদস্য এর সাহসী নেতৃত্বের কারণে তারা কোন ভাবেই সফল হতে পারেনি। ভোলা এল.জি.ই.ডি অফিসে চরফ্যাসন-মনপুরার উন্নয়ন বরাদ্দ নিয়েও বহুবার এধরনের নোংরা ভাষায় মিছিল, শ্লোগান, চরফ্যাসনের ঠিকাদারদের মারধর, হরতাল ও মানববন্ধন করা হয়েছে। এর একমাত্র উদ্দেশ্যে চরফ্যাসন-মনপুরার উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করা। গত ১০ ফেব্রুয়ারি তারিখের ঘৃপ্য ঘটনাটিও পূর্বের ঘটনাগুলোর ধারাবাহিক ঘড়যন্ত্র ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ বলে আমরা মনে করি।
এ দিনের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ভোলা-৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য এর বিরুদ্ধে এবং ভোলা-১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য এর পক্ষে স্লোগান দিচ্ছে, এতেই প্রতিয়মান হয় ইহা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। একজন মাননীয় সংসদ সদস্য এর নির্বাচনী এলাকা থেকে অন্য এলাকার একই দলের মাননীয় সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে এমন অসৌজন্যমূলক আচরণ তাদের পৃষ্টপোষকতা ছাড়া কখনোই সম্ভবময় বলে সকলে মনে করে।
চরফ্যাসনের সকল উন্নয়ন কাজ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয় বিধায়ই ইতিপূর্বে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় স্পীকার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী জননেতা ওবায়দুল কাদের সহ প্রায় অর্ধশত মাননীয় মন্ত্রীগণ গত ১১ বছরে চরফ্যাসনে এসে উন্নয়ন কর্মকান্ড এবং স্থানীয় সংসদ সদস্যের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
আমরা মনে করি, গত ১১ বছরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সহযোগিতায় আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্য নিরলস পরিশ্রম করে চরফ্যাসন-মনপুরায় উন্নয়নের মাধ্যমে যেভাবে মডেল উপজেলায় পরিনত করেছেন তার বিরুদ্ধাচারণ করে তোলার গুটিকয়েক ঠিকাদার বা তাদের পৃষ্টপোষকদের এহেন ঘৃণ্য আচরণে চরফ্যাসন-মনপুরার মানুষের কাছে এমপি মহোদয়ের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাওয়া ছাড়া কখনই কমবে না।
আমরা চরফ্যাসন-মনপুরার উন্নয়ন ও অগ্রত্রার স্বার্থে যে কোন ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় এক্যবদ্ধ। অতীতের মত আগামীদিনেও সকল ঘড়যন্ত্র ও প্রতিবন্ধকতা চরফ্যাসন-মনপুরা বাসীকে সাথে নিয়ে মোকাবেলা করব।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার মেয়র বাদল কৃষ্ণ দেবনাথ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জামাল উদ্দীন মহাজন, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম মোর্শেদসহ উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।