জাতিরজনক হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যাকারি খুনি মাজেদের লাশ ভোলায় ডুকতে দেওয়া হবেনা বলে ঘোষনা দিয়েছেন ভোলা-২ (দৌলতখাঁন- বোরহানউদ্দিন) আসনের সাংসদ আলহাজ্ব আলী আজম মুকুল এমপি। শনিবার (১১ এপ্রিল) তিনি তার ব্যক্তিগত ফেইসবুক আইডিতে এমন একটি পোষ্ট করেন। পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-বিশ্ব মানবতার “মা” ১৬ কোটি বাঙালীর অহংকার, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয়ের বিনয়ের সহিত দৃষ্টি আকর্ষন করছি। ক্যুখ্যাত নরপিশাচ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি, ফাসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী ক্যাপ্টেন মাজেদকে গ্রেফতারের পর আমরা করোনা ভাইরাসের কারনে উল্লাস প্রকাশ করতে পারিনি।
মহামান্য রাষ্ট্রপতি মহোদয় কর্তৃক, এই খুনির সাধারন ক্ষমা ঘোষণা বাতিলের মধ্যে দিয়ে তার ফাঁসির রায় কার্যকরে আর কোন বাধা নেই।আমি দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই- খুনি মাজেদের ফাসি কার্যকর হওয়ার পর তার মৃতদেহ যেন ভোলায় পাঠানো না হয়। যেহেতু এই খুনির গ্রামের বাড়ি আমার নির্বাচনী এলাকায়, সেহেতু তার মরদেহ ভোলায় পাঠানো হলে করোনা পরিস্থিতি উপেক্ষা করে হলেও আমি নিজে তা প্রতিহত করবো।আমি বেচে থাকতে এই ভোলার মাটিতে ঘৃন্য নরপশু মাজেদকে দাফন করতে দিব না।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর খুনি আব্দুল মাজেদের ফাঁসির জন্য ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত। আজ শনিবার (১১ এপ্রিল) রাতেই তার ফাঁসি কার্যকর হচ্ছে।কারা সূত্র জানায়, কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ফাঁসির মঞ্চ তৈরির পর এখন পর্যন্ত কোনো আসামির ফাঁসি কার্যকর হয়নি। বঙ্গবন্ধুর খুনির ফাঁসির মধ্য দিয়ে নতুন এই মঞ্চে ফাঁসির কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।এরইমধ্যে মঞ্চটি ধোয়া-মোছা করে তৈরি রাখা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ফাঁসির সময় নির্ধারণ করে আদেশ দেওয়ার পর মঞ্চটিতে মহড়া করা হবে। এরই মধ্যে কোন কোন জল্লাদ ফাঁসির কাজে অংশ নেবেন, তাও প্রাথমিকভাবে ঠিক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
কারা সূত্র আরো জানায়, গতকাল মাজেদের স্ত্রী সালেহা বেগমসহ পরিবারের পাঁচ সদস্য তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন।গত বুধবার রাতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে পাঠানো প্রাণভিক্ষা খারিজের চিঠি পৌঁছায় কারাগারে। তখনই ফাঁসি কার্যকরের ব্যবস্থা নিতে শুরু করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ।পরেরদিন বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, আবদুল মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। প্রাণভিক্ষার আবেদন বাতিল হয়ে যাওয়ায় ফাঁসির আদেশ কার্যকরে আর কোনো বাধা থাকল না। এখন পরবর্তী প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাঁর ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করা হবে।এর আগে ২৩ বছর ধরে পলাতক আবদুল মাজেদকে ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।