মামুনুর রশিদ টিটু, ভোলা প্রতিনিধিঃ জলবায়ুর পরিবর্তনে ভোলাসহ উপকূলে জলোচ্ছ্বাস হচ্ছে, তাই তড়িঘড়ি করে নয় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পানা নেয়া হবে। পুরানো বাঁধের উচ্চতা ১২ ফুটের পরিবর্তে ১৮ ফুট উচ্চতা করার চিন্তা করা হচ্ছে। এজন্য সমীক্ষা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল অব: জাহিদ ফারুক।
গত কাল শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে, ভোলার ইলিশা থেকে স্পিডবোট যোগে কাচিয়া, ধনিয়া, শিবপুর, দৌলতখান উপজেলার চৌকিঘাট, বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাকিমউদ্দিন, তজুমদ্দিন উপজেলার ইন্দ্রনারায়নপুর, গুরিন্দাবাজার, দাসেরহাট, চাঁচড়া, লালমোহন উপজেলার ফাতেমাবাদ, চাঁদপুর, নতুনবাজার, চরফ্যাশন উপজেলার বেতুয়া, কাশেমমিয়া ঘাট এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বাধেঁর অবস্থা পরিদর্শনকালে এ কথা জানান তিনি। এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাঁধ নির্মাণে কোন অনিয়ম মানা হবে না। অনিয়ম হলে তা তুলে ধরতে সাংবাদিকদের অনুরোধ জানান তিনি।
পরিদর্শনকালে ইলিশা লঞ্চঘাট, দৌলতখান, লালমোহন ও চরফ্যাশনে পৃথক কয়েকটি পথ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাহিদ ফারুক। এসময় উপস্থিত ছিলেন ভোলা-৪ আসন সংসদ সদস্য সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।
জলবায়ু পরিবর্তেনের কারণে গত মাসে ৫ আগষ্ট ১১৫ সেন্টিমিটার ও ২০ আগষ্ট বিপৎসীমার ১১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত মেঘনা নদীর জোয়ারের পানিতে জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়। পাউবো’র সূত্র জানায়, জেলায় ৩৫১ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে মাত্র ৩৩ কিলোমিটার বাঁধ সিসি ব্লকের আওতায় এসেছে। এরমধ্যে কাজ সম্পন্ন হয়েছে মাত্র সাড়ে ২৮ কিলোমিটার।