শতাব্দীর ভয়াবহ মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মাঠে থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন মীরসরাই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এনায়েত হোসেন নয়ন। গত ৩ সপ্তাহ ধরে এলাকায় তিনি বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। শুরুতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে ইউনিয়ন বাসীর মাঝে ১০ হাজার সাবান-মাক্স বিতরণ, সচেতনতার লক্ষ্যে ২০ হাজার লিফলেট বিতরণ, বারইয়ারহাট-খাগড়াছড়ি- রামগড় সড়ক, গ্রামীণ সড়কে জীবানুনাশক স্পে ছেটনো, নিয়মিত এলাকায় মাইকিং ও মসজিদে মসজিদে আজানের আগে প্রচারনা সহ বিভিন্ন প্রশংসনীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। গত ২৬ মার্চ অঘোষিত লকডাউনে বেকার হয়ে যান শ্রমজীবি মানুষ। এমন কর্মহীন প্রায় ১৩শ মানুষের মাঝে খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করেছেন। তার এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার সচেতন বিজ্ঞজনেরা। পাশপাশি অন্য জনপ্রতিনিধিদের জন্য তাঁর এহেন কার্যক্রম অনুপ্রেরণা যোগাবে।
এনায়েত হোসেন নয়ন বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই। সচেতনতাই করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করতে পারে। সরকারি নির্দেশনা মেনে চলুন। এ ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে প্রত্যেকেই সতর্কতার অংশ হিসেবে মুখে মাস্ক ব্যবহার করা, ময়লাযুক্ত পোশাক এড়িয়ে চলা, পর্যাপ্ত পানি পান করা, ঘরে ফিরে হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ভালো করে হাত ধোয়া। সকল জনসাধারণকে ঘরে থাকার জন্য অনুরোধ করছি। আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে ইউনিয়নের প্রধান সড়কে ব্লিচিং পাউডার মেশানো পানি ছিটানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশনায় অঘোষিত লকডাউনের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছে শ্রমজীবি মানুষ। যারা একদিন কাজ না করলে তাদেও পরিবার না খেয়ে থাকতে হবে। আমার প্রিয় নেতা, সাবেক সফল মন্ত্রী,মীরসরাইয়ের সাংসদ ও মীরসরাই’র আগামীর কান্ডারী আইটি বিশেষজ্ঞ মাহবুব রহমান রুহেলের পরামর্শে করোনা প্রতিরোধে মাঠে থেকে কাজ করে যাচ্ছি। ইতমধ্যে ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রায় ১৩শ কর্মহীন, শ্রমজীবি, অসহায়, আধিবাসী ও প্রতিবন্ধিদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমার এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে ইনশাল্লাহ। আমার এক কথা আমার ইউনিয়নবাসী ঘরে থাকবেন যখন যা প্রয়োজন তা ঘরে পৌঁছে যাবে।
তিনি আরও বলেন, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাদের কাজ হলো দুঃসময়ে জনগনের পাশে থাকা। তাই আমি সমাজের সকল বিত্তবান মানুষ ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি অনুরোধ করছি আপনারা কর্মহীন, শ্রমজীবি, রিক্সা চালক, টেক্সিচালক, দিনমজুর এদের পাশে দাড়ান।