বৈশ্বিক মহামারী করোনা ঝুঁকির কথা বিবেচনায় করে চট্টগ্রাম এর সকল বিপণিবিতান ঈদের আগ পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
চট্রগ্রামের বৃহত্তম পাইকারি কাপড়ের বিপণিকেন্দ্র টেরিবাজার ও রিয়াজউদ্দিন বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
আজ শনিবার দুপুরে নগরের দামপাড়ায় সিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে তাঁরা এ সিদ্ধান্তের কথা সংবাদ মাধ্যমে জানান।
এসময় সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান বন্ধকালীন নগরের সব বাজার ও বিপণিকেন্দ্রের নিরাপত্তা জোরদার করার আশ্বাস দেন।
সভায় ব্যবসায়ী নেতারা জাকাতের কাপড় পাইকারি ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য হোম ডেলিভারি চালু রাখা এবং ফুটপাতে ঈদ বাজার বন্ধের দাবি জানান।
টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান বলেন, চট্টগ্রামের সব শপিং সেন্টারের মতো টেরিবাজারও বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা শুধু জাকাতের কাপড় গুদাম থেকে ট্রাকে ক্রেতাদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেছি।
তামাকুমণ্ডি লেইন বণিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক বলেন, চট্টগ্রামের সব শপিং সেন্টার ঈদের আগে না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা। রিয়াজউদ্দিন বাজার, তামাকুমণ্ডি লেন, টেরিবাজারসহ সব বিপণিকেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
আজ দুপুরে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। এর আগে, মিমি সুপার মার্কেটের সভাপতি জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় চট্টগ্রামের অভিজাত ১১টি বিপণিবিতান বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়।সভায় আগামী ৩১ মে পর্যন্ত মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। তবে পরবর্তী মিটিং না হওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলে জানান তারা।