চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার মাদামবিবিরহাট এলাকায় ৩২৮ বোতল ফেন্সিডিল, ১২ কেজি গাঁজাসহ ৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এসময় মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকারও জব্দ করা হয়। গত রবিবার রাত ১২টার সময় উপজেলার মাদামবিবিরহাটে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পূর্বপাশ্বে মেসার্স মিতালী আয়রণ মার্ট নামক একটি দোকানের সামনে এ অভিযান চালানো হয়েছে।
র্যাব-৭ এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্ততিতে জানানো হয়, কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থেকে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী একটি প্রাইভেটকার যোগে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে আসছে, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ি তল্লাশি করলে একটি প্রাইভেটকারের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয়। র্যাব সদস্যরা গাড়িটিকে থামানোর সংকেত দিলে প্রাইভেটকারটি চেকপোস্টের নিকটবর্তী এসে থেমে যায়। এসময় প্রাইভেটকার হতে ড্রাইভারসহ ৩ ব্যক্তি বের হয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হচ্ছে- কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের কালিকাপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মো. আবুল কালাম (২৫), খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার ২নং তবলছড়ি ইউনিয়নের কুমিল্লা টিলার শফিকের বাপের বাড়ির মৃত আব্দুছ সোবাহানের পুত্র ইদ্রিছ মিয়া (৩৫) ও কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার মধ্যমপাড়া চেয়ারম্যান বাড়ির আব্দুল গফুরের পুত্র মো. সুজন (২০)।
আসামিদেরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের দেখানো ও সনাক্ত মতে প্রাইভেটকারটি তল্লাশি করে পিছনের বনেটের ভিতর সুকৌশলে রক্ষিত অবস্থায় ৩২৮ বোতল ফেন্সিডিল, ১২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লা সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন কৌশলে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাচার করে আসছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ৪ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা এবং জব্দকৃত প্রাইভেটকারের আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষ টাকা। গ্রেপ্তারকৃত আসামি এবং উদ্ধারকৃত মালামাল সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সীতাকুণ্ড থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।