চট্টগ্রামে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৪৬ জন।এই নিয়ে চট্টগ্রামে করোনা রোগীর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ৭৪৪৬ জনে। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৩ জন। চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা দাঁড়ালো ৯০৮ জনে। অন্যদিকে, করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৫ জন, যাদের সবগুলোই নগরের। ফলে চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা এখন ১৬০।
আজ ২৬ জুন শুক্রবার সকালে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানান, চট্টগ্রামে নতুন যোগ হওয়া শেভরন ল্যাবসহ ছয়টি এবং কক্সবাজারের একটি ল্যাব মিলিয়ে সর্বমোট ১০৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় আরও ২৪৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস পজিটিভ পাওয়া গেছে। নতুন শনাক্তদের মধ্যে নগরের ২১২ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার ৩৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় শনাক্ত হওয়াদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে। সেখানে সর্বাধিক ৩৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮৩ জনের দেহে করোনা পজিটিভ মিলেছে। যাদের মধ্যে ৭৮ জন নগরের ও ৫ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবের পরে বেশি রোগী শনাক্ত হয় চট্টগ্রামের বেসরকারি করোনা পরীক্ষাকেন্দ্র ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের লাবে। সেখানে ১৪৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় ৬৬ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। যাদের মধ্যে ৫৯ জনই নগরের, বাকি ৭ জন উপজেলার রোগী।
চট্টগ্রামে নতুন যোগ হওয়া করোনা শনাক্তকরণ ল্যাব শেভরনে প্রথমদিনে ১০০টি নমুনা পরীক্ষা করিয়ে ৬২ জনের দেহে করোনাভাইরাসের জীবাণু শনাক্ত হয়। যাদের ৫৮ জন নগরের এবং ৪ জন বিভিন্ন উপজেলার।
ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি)-তে ২৭৭টি নমুনা পরীক্ষা করিয়ে করোনা রোগী পাওয়া যায় মাত্র ১৭ জন। যাদের মধ্যে ১০ জন নগরের এবং বাকি ৭ জন বিভিন্ন উপজেলার।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটির (সিভাসু) ল্যাবে ১০০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গেছে মাত্র ৯ জনের শরীরে। যাদের ২ জন নগরের ও ৭ জন বিভিন্ন উপজেলার। আগেরদিনও সিভাসুতে সমাসংখ্যক নমুনা পরীক্ষায় ৯ জন রোগী পাওয়া গিয়েছিল।
একইদিনে, ১৩১টি নমুনা পরীক্ষা করে ৮ জনের দেহে করোনভাইরাসের জীবাণু পাওয়া যায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে। যাদের মধ্যে ৫ জন নগরের ও ৩ জন উপজেলার।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৮টি নমুনা পরীক্ষা করিয়ে ১ জন উপজেলার করোনা রোগী শনাক্ত হয়।
উপজেলা পর্যায়ে নতুন করোনা শনাক্ত ৩৪ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হাটহাজারী উপজেলায়। সেখানে ৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। এছাড়া চন্দনাইশে ৫ জন, সাতকানিয়ায় ৪ জন, আনোয়ারা ও বোয়ালখালীতে ৩ জন করে, পটিয়া, রাঙ্গুনিয়া ও সীতাকুণ্ডে ২ জন করে এবং লোহাগাড়া, বাঁশখালী, রাউজান, ফটিকছড়ি ও মিরসরাইয়ে ১ জন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।