শতাব্দীর ভয়াবহ বৈশ্বিক মহামারী
করোনায় আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামে মৃত্যুর তালিকায় যোগ হলো আরো চারজন। এর মধ্যে একজন করোনা শনাক্তের পর মারা গেলেও বাকি তিনজনের মৃত্যু হয়েছে করোনা শনাক্ত হওয়ার আগে। অর্থাৎ মৃত্যুর পর নমুনা পরীক্ষায় এই তিনজনের করোনা শনাক্ত হয়। নতুন করে মোট চারজনের মৃত্যুর তথ্য সংবাদ মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে প্রকাশ- করোনা শনাক্তের পর মারা যাওয়া ওই রোগীর নাম এসকান্দর উল্লাহ। ৫৪ বছর বয়স্ক ওই রোগী চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হাসপাতালের আইসিইউতে গতকাল বেলা ১১টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছেন জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ। এসকান্দর উল্লাহ নগরীর সরাই পাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে। শ্বাসকষ্ট নিয়ে তাঁকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ৩ মে ভোরে জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে সরাসরি আইসিইউতে ভর্তি রাখা হয় বলে জানান জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আব্দুর রব। পরে ৪ মে রাতে নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে তাঁর করোনা পজিটিভ আসে। করোনা শনাক্তের দুদিন পর গতকাল বেলা ১১টার দিকে ওই রোগীর মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে, নগরীর বাকিলয়া থানাধীন রাহাত্তারপুল এলাকার ৭০ বছর বয়সী আরমান হোসেন, চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঝালকাঠি এলাকার ৫৬ বছর বয়সী আব্দুল হালিম মিয়া এবং চান্দগাঁও এলাকার আরজু আকতার নামে ১৯ বছরের এক তরুণীরও মৃত্যু হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার আগেই তিনজনের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে গতকাল রাতে এই তিনজনের করোনা শনাক্ত হয়। এ নিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট ১২ জনের মৃত্যু হলো চট্টগ্রামে। এর আগে ৬ বছরের এক শিশুসহ আরো ৮ জনের মৃত্যু হয়।