চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৩৫১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ বাজেট সিনেট সভায় পেশ হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে সংশোধিত বাজেট ও ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের প্রাক্কলিত বাজেট আজ ২৭ জুন শনিবার চবি চারুকলা ইনস্টিটিউটের কনফারেন্স রুমে শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে চবি ফাইন্যান্স কমিটি (এফসি) ও সিন্ডিকেটের ৫৬তম যৌথ সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন সিন্ডিকেট সদস্য এস এম ফজলুল হক, প্রফেসর ড. কাজী এস এম খসরুল আলম কুদ্দসী, প্রফেসর ড. এ কে এম মাঈনুল হক মিয়াজী, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নাসিম হাসান, অনলাইনে অংশগ্রহণ করেন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মহীবুল আজিজ, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব ও চবি সিন্ডিকেট সদস্য সম্পদ বড়ুয়া ও সিন্ডিকেট সচিব চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ এবং এফসি সদস্য প্রফেসর ড. ইমরান হোসেন, প্রফেসর ড. সুলতান আহমেদ। এছাড়াও অনলাইনে অংশগ্রহণ করেন এফসি সদস্য প্রফেসর আবু মুহাম্মদ আতিকুর রহমান ও ছিদ্দিকুর রহমান ভূঁইয়া। উক্ত সভায় ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে সংশোধিত বাজেট ৩৪১১৫.০০ লক্ষ টাকা এবং ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে প্রাক্কলিত বাজেট ৩৫১৮৫.০০ লক্ষ টাকা অনুমোদন করা হয়।
উপাচার্য তাঁর ভাষণের শুরুতে সাম্প্রতিককালে করোনাভাইরাসের মহামারী ও অসুস্থতার কারণে চবি পরিবারের সম্মানিত শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের অসুস্থ সদস্যদের আশু রোগ মুক্তি কামনা করেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদ্য প্রয়াত ব্যক্তিবর্গের সম্মানে উপস্থিত সকলে দাঁড়িয়ে একমিনিট নিরবতা পালন করেন।
চবি উপাচার্য বলেন, এবারের বাজেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সরকারের গৃহীত কার্যক্রমের সাথে সঙ্গতি রেখে শিক্ষা-গবেষণার মান অধিকতর বাড়াতে চবি প্রশাসন কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের এ মহামারীতে শিক্ষা-গবেষণার ক্ষতি পুষিয়ে ওঠতে চবি প্রশাসন কর্তৃক ইতোমধ্যে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট পর্ষদের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য অবস্থানে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি যা অচিরেই দৃশ্যমান হবে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলকে সাথে নিয়ে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা, শিক্ষা-গবেষণার অধিকতর মান বৃদ্ধি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সম্পদ সুরক্ষা ও এর যথাযথ ব্যবহার এবং উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণার বিরাজমান পরিবেশ সমুন্নত রাখাসহ সর্বোপরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে তাঁর কর্মপ্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
সভায় চবি হিসাব নিয়ামক (ভারপ্রাপ্ত) এফসি সচিব মো. ফরিদুল আলম চৌধুরী বাজেট উপস্থাপন করেন। এই বাজেট আগামী সিনেট সভায় পেশ করার জন্য অনুমোদন করা হয়।