চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পাহাড়তলীতে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন।
নিহত নিজামউদ্দীনকে ছুরিকাঘাত করেন তারই আপন ভাই সালাউদ্দিন।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন পাহাড়তলী থানার ওসি (তদন্ত) রাশেদুল হক।নিহত নিজামউদ্দীন ১২ নম্বর ওয়ার্ডের (সরাইপাড়া) আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী সাবের আহম্মদের কর্মী বলে জানা গেছে।
ঘাতক সালাউদ্দিন কামরুল ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আমিনের কর্মী।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে সকাল ৮টা থেকে নগরীর ৭৩৫টি কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
এরপর সকাল ১০টার দিকে পাহাড়তলী ও লালখান বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
ওই সংষর্ষে ১০ জন আহত হন। জানা গেছে, মোটরসাইকেলেও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এদিকে নগরীর সব কয়েকটি কেন্দ্রে এবারই প্রথমবার ইভিএমে (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির দুই প্রার্থী ছাড়াও এবার চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে আরো পাঁচ প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।অন্যদিকে ৩৯টি সাধারণ কাউন্সিলর ও ১৪টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন ২৩৭ জন।
এবারের ৭৩৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪১৭টি কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন।এসব কেন্দ্রের নিরাপত্তায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে। এ ছাড়া নগরজুড়ে দিনব্যাপী রয়েছে গোয়েন্দা নজরদারির আওতায়।
২০২০ সালের ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ষষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে নির্বাচনের আট দিন আগে তা স্থগিত করা হয়।
এরপর পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ভোটের দিন ঠিক করে কমিশন।এবারের নির্বাচনে ৭৩৫টি কেন্দ্রের ৭৬৪টি বুথে ভোটগ্রহণ হবে। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৭ জন মেয়র ও ২২৫ জন কাউন্সিলর প্রার্থী।