চট্টগ্রাম ইউরিয়া সার কারখানা (সিইউএফএল)
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর আবারও উৎপাদন শুরু হয়েছে। গত ৩ এপ্রিল শুক্রবার রাত পৌনে ১২টায় বয়লারের সংস্কার কাজ শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরিয়া সার উৎপাদন শুরু হয় রাষ্ট্রায়ত্ত এ সার কারখানাটিতে। এর আগে কারখানাটি গ্যাস পেয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অ্যামোনিয়া উৎপাদন শুরু করে। দীর্ঘ এক বছর রিটিউবিং (যান্ত্রিক সংস্কার) শেষে গত ২০ মার্চ কারখানা খোলা হয়। পরে গত ২৬ মার্চ থেকে অ্যামোনিয়া উৎপাদন হচ্ছিল। ত্রুটি সারানোর পর গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ায় গত শুক্রবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিট থেকে আবারও ইউরিয়া সার উৎপাদন শুরু করেছে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় এই সার কারখানাটি। সফল ভাবে ইউরিয়া সার উৎপাদনে যাওয়ায় কারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও খুশি। সচল থাকলে দৈনিক ১৭শ’ মেট্রিক টন উৎপাদন হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু এখন ১৪শ’ মেট্রিক উৎপদন হচ্ছে বলে কারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানিয়েছেন। বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ৫ লাখ ৬১ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া এবং ৩ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন অ্যামোনিয়া।
কারখানা সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ২০ মার্চ যান্ত্রিক ত্রুটি ও গ্যাস সংকটের কারণে সার উৎপাদন বন্ধ করে দেয় সিইউএফএল। এই ব্যাপারে সিইউএফএল সিবিএর সভাপতি মো. নাছির উদ্দিন আজাদীকে জানান, সংস্কার কাজের জন্য দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় বন্ধ ছিল সিইউএফএল সার কারখানা। সংস্কার কাজ শেষে আবারও উৎপাদন শুরু হয়েছে। গ্যাস সরবরাহ ঠিক থাকলে এখন থেকে নিয়মিতই উৎপাদন থাকবে। এদিকে সিইউএফএল সিবিএর সহ সম্পাদক মো. ইমরান খান আজাদীকে জানান, করোনা ঝুঁকির মধ্যেও প্রতিটি কর্মচারী নিজেদের প্রতিষ্ঠানটিকে ভালোবাসে কাজ করতে এসেছেন। মেরামত কাজের জন্য কারখানাটি ৩৭৯ দিন বন্ধ ছিল। বয়লারের সংস্কার কাজ করেছিল আমেরিকান একটি প্রতিষ্ঠান। সফলভাবে মেরামত কাজ শেষ হয়েছে। শুক্রবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ইউরিয়া উৎপাদন শুরু হলে সবার মাঝে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। এখন উৎপাদন চলছে। গত ২ তারিখ সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে তরল অ্যামোনিয়া উৎপাদন শুরু হয়েছে।
সিইউএফএল সূত্র জানায়, ১৯৮৭ সালের ২৯ অক্টোবর জাপানের কারিগরি সহায়তায় কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে আনোয়ারা উপজেলার রাঙ্গাদিয়ায় সার কারখানাটি প্রতিষ্ঠা করে সরকার। ওই সময় কারখানাটির নির্মাতাকারী জাপানি প্রতিষ্ঠান ২০ বছর মেয়াদ বেঁধে দিলেও পার হয়ে গেছে প্রায় ৩৩ বছর। বিভিন্ন সময়ে গ্যাস সংকট ও যান্ত্রিক ত্রুটিতে কারখানাটি ৮-৯ মাস বন্ধ থাকলেও এবার সর্বোচ্চ উৎপাদন বন্ধ থাকে ১ বছর ১২ দিনের মতো।
কারখানার প্রকৌশল বিভাগ সূত্র জানায়, ১২ বছরের বেশি দিন আগে পুরো প্রতিষ্ঠান মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় কারখানার বেশিরভাগ যন্ত্রাংশ অকেজো হয়ে পড়েছে। তারমধ্যে কিছু কিছু যন্ত্রাংশ পরিবর্তন করা হলেও বাকিগুলো ঝুঁকির মধ্যে আছে। এছাড়া কারখানা চালু থাকলে প্রতি ঘন্টায় ৮শত মেট্রিক টন করে দৈনিক ১৯ হাজার ২শত মেট্রিক টন পানির প্রয়োজন হয়। এ কারখানা প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে কালুরঘাট ওয়াটার প্ল্যান থেকে পানি এনে প্রতিষ্ঠান চালানো হয়। কিন্তু কর্ণফুলী নদীতে পানির লবণাক্ততা বেড়ে গেলে চাহিদামত পানি নেওয়া সম্ভব হয় না।সূত্রঃশুকলাল দাশ, দৈনিক আজাদী।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
Leave a Comment