চট্টগ্রাম জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত পাওয়া গেছে ব্যবসায়ী বা সওদাগরের এলাকা হিসেবে পরিচিত সাতকানিয়া উপজেলায়। এর পরে ৭জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে উত্তর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে।
বুধবার সীতাকুণ্ডে নতুন করে তিনজন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হন। এর পরপরই সেই উপজেলার কুমিরায় অবস্থিত পিএইচপি গ্রুপের একটি ফ্যাক্টরি লকডাউন করা হয়। ফ্যাক্টরির একজন ফোরম্যানের করোনা পরীক্ষার ফল পজেটিভ আসলে সেখানকার ১৫০ জন কর্মচারীকে উপজেলা প্রশাসন দুসপ্তাহের হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠায়।
দ্বিতীয় পজেটিভ আসা সবজি ব্যাবসায়ী ছলিমপুর ইউনিয়ের ৬নং ওয়ার্ডের কালুশাহ নগর এলাকার তজু আহমদ এর বাড়ীতে ভাড়া থাকেন।সেখানকার ৬ পরিবারের ৩৩ সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।
ব্র্যাকের যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীর উপজেলা ম্যানেজার হলেন তৃতীয় পজেটিভ হওয়া ব্যক্তি।তার আবাসস্থল পৌর সদরের আমিরাবাদ এলাকায় জনৈক লিটনের ভাড়া বাসার ৩০ পরিবারের ১২৮ সদস্য হোম কোয়ারেন্টিনে থাকলে উপজেলা ও থানা থেকে আদেশ দেয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার রাতে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বিএনএকে জানান, চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডিতে করোনার ১৯০ টি নমুনা পরীক্ষায় ১২ টি পজিটিভ এসেছে। নেগেটিভ এসেছে ১৭৮টি। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) ল্যাবে ৭২টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। সেখানে আটজনের পজিটিভ এসেছে।
সূত্রঃবিএনএ