গরীবের জন্য বরাদ্ধ গরীবরা পায় না, বরাদ্ধ লুটে খায় রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও আমলারা।
বুধবার বিকেলে “কাজ মজুরি জমি অধিকার ইনসাফ চাই” এশ্লোগানকে সামনে রেখে বাজেটে ক্ষেতমজুরসহ গ্রামীণ মজুরদের জন্য পর্যাপ্ত পৃথক বরাদ্ধের দাবীতে বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি দেশব্যপী রাজপথে বিক্ষোভ সমাবেশের অংশ হিসেবে কুমিল্লা মহানগরে উক্ত কর্মসূচী পালনকালে বক্তারা ওই বক্তব্য তুলে ধরেন।
বক্তারা আরো বলেন, ক্ষেতমজুররা তাদের স্বার্থে আন্দোলন করে, দাবী আদায় করে আর তার সুফল ভোগ করে লুটেরা রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও আমলারা।
আসন্ন বাজেটে ক্ষেতমজুরসহ গ্রামীণ মজুরদের জন্য পর্যাপ্ত পৃথক বরাদ্ধের দাবী জানিয়ে বক্তারা আরো বলেন, ‘অবিলম্বে পল্লী রেশনিং চালু করে চাল-আটা ৫ টাকা, তেল-ডাল ৩০ টাকা, লবন-চিনি-কেরসিন ১৫টাকা দরে সরবরাহ করতে হবে।
গ্রামীণ কর্মসূচী ও প্রকল্প বাড়াতে হবে। দূর্নীতি-অনিয়ম-লুটপাট বন্ধ করতে হবে ইউপি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
ক্ষেতমজুরদের কর্মক্ষম সন্তানদের ভোকেশনাল ট্রেনিং দিয়ে দেশ ও বিদেশে চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। ‘১০০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচী’ পূণ:রায় চালুসহ মজুরি বৃদ্ধি করতে হবে।
ক্ষেত মজুরের সন্তানদের বিনা খরচে সুশিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। খাইখালাসি আইন করে এনজিও ঋণের অত্যাচার বন্ধসহ ক্ষেতমজুরদের ন্যয্য ১০ দফা দাবী মেনে নিয়েই আসন্ন বাজেটে ক্ষেতমজুরসহ গ্রামীণ মজুরদের জন্য পর্যাপ্ত পৃথক বরাদ্ধ রাখতে হবে।
বুধবার বিকেলে একটি বিক্ষোভ মিছিল কুমিল্লা টাউন হল মাঠ থেকে শুরু করে মহানগরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কান্দিরপাড় পূবালী চত্তরে এসে এক সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে ক্ষেতমজুর সমিতি কুমিল্লা জেলা সভাপতি পরেশ কর’র সভাপতিত্বে এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ খলিলুর রহমান বাঙ্গালীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন এবিএম আতিকুর রহমান বাশার, বিকাশ দেব, সৈয়দ খলিলুর রহমান বাবুল, এডভোকেট অশোকদেব জয়, সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ-বন্দর ও জাতীয় সম্পদরক্ষা কমিটি কুমিল্লা জেলা সদস্য সচিব নাছিরুল ইসলাম মজুমদার প্রমূখ।