কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে কিট সংকটের গত দুইদিন ধরে সন্দেহভাজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তিদের নমুনা পরীক্ষা করা যাচ্ছে না। কিটের অভাবে সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে নমুনা পরীক্ষার ল্যাবটি। যার কারণে আপাতত নমুনা সংগ্রহ করাও স্থগিত রেখেছেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
পরীক্ষায় ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছে আগে নমুনা দিয়ে রাখা প্রায় একহাজারের বেশি মানুষ। এতে চরম ভোগান্তিতে রয়েছে করে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে সাধারণ মানুষ। কিট সংকটে পরীক্ষা ল্যাব বন্ধ থাকার বিষয় নিশ্চিত করেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ মোস্তফা কামাল আজাদ।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ এপ্রিল থেকে মেডিকেলে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়। প্রথমে এক শিফট চালু হলেও পরবর্তীতে দুই শিফটে পরীক্ষার কাজ করা হয়। কখনও কাজের চাপ বেড়ে গেলে তিন শিফটেও নমুনা পরীক্ষা করা হয়। প্রতি শিফটে ৯৪টি পরীক্ষা করা সম্ভব হয়। করোনা পরীক্ষা চালুর পর এপর্যন্ত ৬ হাজার ৯০০ কিট সরকার থেকে মেডিকেল কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মেডিকেলের একটি সূত্র জানায়, মেডিকেল কলেজের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শুরুতে কাজ শিখতে গিয়েই প্রায় ৮শ’ কিট নষ্ট করে ফেলে। যার প্রতিটির মূল্য ৪ হাজার টাকা।
এদিকে, গত শুক্রবার (৫ জুন) অর্ধবেলা আর শনিবার (৬ জুন) পুরো দিন ল্যাবে করোনাভোইরাসের নমুনা পরীক্ষা সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল কিট সংকটের কারণে। এতে জমে গেছে একহাজারের বেশি স্যাম্পল। এই স্যাম্পলগুলো পরীক্ষা না হওয়াতে বিশাল সংখ্যক জনগোষ্ঠী জানতে পারছে না তাদের করোনা পজেটিভ না নেগেটিভ। এতে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যেদিন কাটাচ্ছে ফলাফল প্রার্থীরা।
কুমিল্লা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সমন্বয়ক ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী জানান, “কিট সংকটে যেহেতু কুমিল্লা মেডিকেলে পরীক্ষা বন্ধ তাই আমরাও আপাতত স্যাম্পল সংগ্রহ বন্ধ রেখেছি। খুব জরুরি না হলে এখন আমরা স্যাম্পল নিচ্ছি না। পরীক্ষা শুরু হলে আবারও স্যাম্পল নেওয়া শুরু করবো।”
এবিষয়ে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ মোস্তফা কামাল আজাদ বলেন, “কিট সংকটের কারণে পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। শনিবার বিকালে ডিজি অফিস থেকে বলেছে, বাহির থেকে এয়ারপোর্টে কিট চলে এসেছে। আশা করা যায়, রবিবার কিট কুমিল্লা এসে পৌঁছলে আবারও নমুনার কাজ শুরু করতে পারবো।