উচ্চ মাধ্যমিকে আর্থিক সমস্যায় ভর্তি হতে পারছেনা দুই হাতের কব্জি হারানো জান্নাতুল

মোঃইয়াসিন,সাভারঃ

দুই হাতের কব্জি বিহীন ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ঢাকা বোর্ড থেকে জিপিএ-৪.৭২(A) পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন আশুলিয়ার জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক প্রতিবন্ধি শিক্ষার্থী।

সাভারের আশুলিয়ার গাজিরচট এলাকার হাজী মতিউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় হতে ডাক্তার হওয়ার সপ্ন নিয়ে বিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে হাতের কব্জি না থাকা সত্তেও সফলতার সাথে ভালো ফলাফল করে জান্নাতুল ফেরদৌস।

জান্নাতুল ফেরদৌস কুমিল্লা জেলার চাটখিল উপজেলাধীন মানিকপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে। সে আশুলিয়ার পল্লীবিদুৎ এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে।

জান্নাতুল ফেরদৌসের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করে জানা যায়, ‘ বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান জান্নাতুল। বাবার সাথে মায়ের বিচ্ছেদ হওয়ায় মামা ও খালার সাথে ভাড়া বাসায় দারিদ্রতার সহিত বসবাস করে আসছে। মামা-খালার বাসায় বসবাস করে লেখাপড়ার অতিরিক্ত খরচ বহন করা তাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না।

মায়ের উৎসাহে অনেক কষ্ট করে এস এস সি পরিক্ষার ফরম পূরণের টাকা সংগ্রহ করে পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করে ছিলো।

টাকার অভাব থাকায় প্রায়শই লেখা পড়ায় নানাভাবে বাঁধাগ্রস্ত হয়েছিল। এখনো টাকা ছাড়া ভর্তি প্রায় অনিশ্চিত। তাই কলেজে ভর্তি ও লেখা পড়ার খরচ বহনের জন্য সকলের কাছে সহযোগিতা চেয়েছে এই শিক্ষার্থী। সকলের সহযোগিতা পেলে সাভার ক্যান্টনমেন্ট কলেজে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করবেন জান্নাতুল। পৌঁছে যেতে চায় তার স্বপ্নের সেই চেম্বারে। করতে চান মানুষের সেবা।

এ ব্যাপারে জান্নাতুল ফেরদৌসের মা নুলুফা বেগম জানান, তার মেয়ের পড়াশোনার প্রবল আগ্রহ। মেয়ের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার খরচ বহন করা তার জন্য খুবই কষ্ট সাধ্য। জান্নাতুল ফেরদৌসের মা দেশবাসীর নিকট সাহায্য চেয়েছেন।

প্রসঙ্গত যে, দুর্ভাগ্যজনকভাবে ২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারী আশুলিয়ার নবীনগর এলাকার একটি ভাড়া বাসার ছাদে বিদ্যুৎ সঞ্চালক তারে জড়িয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস এর দুই হাত পুড়ে যায়। পরে জানুয়ারী মাসের ২৭ তারিখে তার হাতের কব্জিসহ কেটে ফেলা হয়।