কুকুর স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশজুড়ে চলছে প্রতিবাদ। ঢাকার কিছু এলাকায় ‘কুকুর বেড়ে যাওয়া’র অভিযোগে অবলা প্রাণীগুলোকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি পশুপ্রেমী থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিকরা।
এর বিপরীত চিত্রও দেখা গেছে। সব কুকুর মেরে ফেলার দাবি জানিয়ে মানববন্ধন হয়েছে এই ঢাকা শহরে! তবে ডিএসসিসি এমন কাজ করলেও উল্টো পথে হাঁটতে চান ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
সোমবার সোশ্যাল সাইটে নিজের ভেরিফায়েড পেইজে আতিকুল ইসলাম লিখেছেন, এই শহর শুধু মানুষের নয়, সমস্ত অবলা প্রাণীরও।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য মানুষের পাশাপাশি প্রাণীর সহাবস্থান জরুরি। একটি মানবিক এবং প্রাণবিক ঢাকা শহর গড়ার লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুকুর অপসারণ নয়, জন্মনিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
নগরবাসীর নিরাপত্তা এবং প্রাণী কল্যাণ আইনের প্রতি সম্মান জানিয়ে অতি শীঘ্রই ডিএনসিসি জলাতঙ্ক টিকা প্রদান এবং কুকুর বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছে।
কুকুর নিধন এবং স্থানান্তর নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে অনেক পক্ষে-বিপক্ষে মত শোনা যাচ্ছে। পরিবেশবাদী এবং মানবিকবোধসম্পন্ন মানুষেরা বলছেন, কুকুর নিধন করলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে।
কুকুরের জন্য মহল্লায় অপরাধীরা অনেক সময় ঢুকতে পারে না। বেপরোয়া গতির যানবাহন দেখলে প্রতিরোধ করে কুকুর। এই প্রাণীগুলো মানুষের পরম বন্ধু। বাইরের উচ্ছিষ্ট খেয়েই তারা বেঁচে থাকে। এজন্য পরিবেশবাদীদের দাবি, কুকুর নিধন না করে এগুলোর জন্মনিয়ন্ত্রণ করা হোক।