মোঃইয়াসিন,সাভার প্রতিনিধিঃ করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সারাদেশে যখন চলছে অঘোষিত লকডাউন ও দেশের সকল সরকারী,বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে সাধারন ছুটি। মহাসড়ক গুলোতে দেখা মেলে তার ভিন্ন চিত্র।
করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সকলকে সচেতন করতে যখন সকল শ্রেনী পেশার মানুষকে নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করতে বলা হয়েছে,নেয়া হচ্ছে বিশেষ সতর্ক ব্যাবস্থা।
কর্মহীন দূস্থ্য মানুষের মাঝে দেয়া হচ্ছে সরকারী ও বেসরকারী ভাবে ত্রান সামগ্রী।
কর্মজীবী মানুষের বিশাল একটি অংশ পোশাক শিল্পে নিয়োজিত।ঢাকা শহর ও সাভারের ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়া করন এলাকায় প্রায় ৭ লক্ষাধিক পোশাক শ্রমিকের বসবাস।যেখানে হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলতে বলা হয়েছিলো,বন্ধ করা হয়েছিলো সকল পোশাক কারখানা ও সাধারন যাত্রীবাহি যান চলাচল।
কিন্তু সে কথাকে অমান্য করে সরকারের বীধি-নিষেধকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে বিকল্প যাতায়াত ব্যাবস্থার মাধ্যমে নিজ নিজ গ্রামের বাড়ী পাড়ি জমান সাধারন ছুটি পাওয়া ৯৫% শ্রমিক।
এতে বেড়ে যাচ্ছে করোনা ভাইরাস সংক্রামনের ঝুকি। বিপাকে পরেছে ঢাকার স্থায়ী বাসীন্দারা।এর ফলে কোভিড১৯ ভাইরাসের প্রাদূর্ভাব বেরে সৃষ্টি হতে পারে মহামারীর।
কিছু কিছু শিল্প কারখানা ও পোশাক কারখানা রবিবার(৫ এপ্রিল) থেকে কার্যদিবস শুরু করাতে শ্রমিকদের ঢাকামূখী ফেরা শুরু করাতে ঘটতে পারে চরম বিপর্যয়ের। শনিবার(৪এপ্রিল) সকাল থেকেই ঢাকা আরিচা মহাসড়কে দেখা মেলে কর্মমুখি মানুষের উপচেপরা ভীড়। যা এখনো বলবত আছে।
সাধারন যানবাহন চলা নিষেধ থাকায় পন্যবাহী ট্রাক ও ট্রলীর মাধ্যমে সামাজিক ও পারস্পারিক দুরুত্ব কে তোয়াক্কা না করেই ঢাকামূখি পারি জমাচ্ছে তারা।
এমন পরিস্থিতিতে আইন শৃঙ্খলা বাহীনির অপারগতা কে দায়ী করছে সাধারন মানুষ।
ফলে করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতী ঘটবে বলেও ভয়ের সৃষ্টি ঢাকাবাসীর।