কালু নগর খাল ব্যবস্থাপনার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার সাপ্তাহিক নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ হিসেবে কালু নগর খাল পরিদর্শনে গিয়ে ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও প্রকৌশল বিভাগকে এই নির্দেশ দেন।
কালু নগর খালের বক্স কালভার্ট অংশ থেকে ডাউন স্লোপে পানি প্রবাহ সৃষ্টি করতে পারলে এই অঞ্চলের জলাবদ্ধতা অনেকাংশে লাঘব হবে। এ ছাড়া মশার প্রজননস্থল সৃষ্টি বিঘ্নিত হবে।
বক্স কালভার্টের ভেতর দিয়ে পানি প্রবাহের জন্য বর্তমানে ব্যবহৃত তিন ফিট ব্যাসার্ধের পাইপটি পুরোপুরি আটকে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আটকে থাকা ময়লা অবমুক্ত করার পাশাপাশি প্রয়োজনে বড় আকারের পাইপ ব্যবহার করে পানি প্রবাহ সৃষ্টি করতে হবে।
এ সময় ডিএসসিসি মেয়র বলেন, জনগণ যাতে খালের দু’পাশ থেকে খালের মধ্যে ময়লা ফেলতে না পারে, সেজন্য খালের দুপাশে উঁচু করে ফেন্সিং করতে হবে। জনগণকেও তিনি খালে কোনো ময়লা না ফেলার আহ্বান জানান।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন জানান, মেয়র মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক আজ থেকেই খালের বর্জ্য পরিষ্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। শিগগিরই কালু নগর খালে পানি প্রবাহ সৃষ্টি করতে পারবো বলে আমরা আশাবাদী।
ডিএসসিসির দশটি অঞ্চলের দশটি খাল ও জলাশয় নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ইতোমধ্যে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। প্রকল্পটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
আজকের পরিদর্শনে কালু নগর খালের পাশাপাশি ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ¯টার হাউস, গজমহল পার্ক ও হাজারীবাগ কাঁচাবাজার, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের হাজারীবাগ পার্ক, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের নবাবগঞ্জ কাঁচাবাজার, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল আলীম খেলার মাঠ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডের হ্যাপি রহমান প্লাজা পরিদর্শন করেন।
ডিএসসিসি মেয়রের সাথে এ সময় কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হকসহ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।