আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) নগর ভবনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণাকালে মেয়র তাপস বলেন, আমি কোনও ঘটনার তদন্তে বিশ্বাসী নই। যখনই কোনও অনিয়ম বা দুর্নীতি হবে, তার সত্যতা পাওয়া গেলেই সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন। আমি ‘হায়ার অ্যান্ড ফায়ারে’ বিশ্বাসী। ‘কোনও সংস্থার বিরুদ্ধে আমাদের ব্যক্তিগত কোনও আক্রোশ নেই। কিন্তু আইন অনুযায়ী আমরাই ঢাকার জলাবদ্ধতা দূর করবো। জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরাই মুখ্য ভূমিকা পালন করবো। পূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে আমরাই জলাবদ্ধতা থেকে ঢাকাবাসীকে মুক্তি দিতে চাই।’
‘আমরা ৩০ বছর মেয়াদি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। সরকারের কাছে আমাদের নিবেদন থাকবে—ঢাকা কেন্দ্রিক অন্যান্য সংস্থা যদি কোনও প্রকল্প নেয় তারা যেন পুরো বিষয়টি আমাদের সঙ্গে সমন্বয় করেন। ঢাকাকে নিয়ে যেকোনও প্রকল্প আমাদের দেবেন, আমরা তা যথাযথ পালন করবো। ঢাকাকে নিয়ে আর ছেলেখেলা করতে দেওয়া হবে না।’
কামরাঙ্গীর চরের উন্নয়ন প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, তিনি বলেন, একটি শহরের চারদিকে নদী বেষ্টিত, এমন শহর পৃথিবীতে বিরল। কিন্তু বুড়িগঙ্গার সন্তান, আমাদের সকলের প্রাণের এই ঢাকা শহরের জনগণকে নাগরিক সুবিধা দেওয়ার প্রচেষ্টা থাকলেও তা সবসময় প্রদান করা সম্ভব হয়নি। তাই সহজতর ও কার্যকর উপায়ে নাগরিক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে আমরা মহাপরিকল্পনার আওতায় কামরাঙ্গীরচরে একটি সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট করতে চাই।”
নতুন অর্থবছরের জন্য ৬ হাজার ১১৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, যা গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের ১৩৬ শতাংশ বেশি।
গত অর্থবছরে দক্ষিণ সিটির সংশোধিত বাজেটের আকার ছিল ২৫৮৫ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
মেয়র তাপস তার বাজেট বক্তৃতায় বলেন, এবারের বাজেটে ‘বটম-আপ পলিসিকে’ গুরুত্ব দিয়ে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত কাউন্সিলর ও সংসদ সদস্যদের উন্নয়ন ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। নগরবাসীর জীবনমান উন্নয়ন ও নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে ১৯টি নতুন প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাজেটে মহা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কামরাঙ্গীরচরে একটি ‘সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট’ করার কথাও তিনি বলেন।