দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, অবৈধ ক্যাবল অপসারণ ও এডিস মশার প্রজননস্থল শনাক্তকরণে ভ্রাম্যমাণ আদালতগুলোর অভিযান চলমান রয়েছে।
রবিবার ২৩তম দিনে নিয়মিত উচ্ছেদ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় ওয়ারী ও দয়াগঞ্জ এলাকায় অবৈধ স্থাপনা-দোকানপাট ও অবৈধ ক্যাবল অপসারণ করা হয়েছে।
ডিএসসিসি’র সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত ঠাটারী বাজার, জয়কালী মন্দির, ওয়ারী ও বঙ্গভবনের দক্ষিণ পাশের ফুটপাতের ওপর অবস্থিত অস্থায়ী টং দোকান ও ইলেকট্রিক পোল হতে অবৈধ ক্যাবল অপসারণ করেন।
মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত এ সময় ১০টি ইলেকট্রিক পোল হতে সব অবৈধ ক্যাবল অপসারণ ও ফুটপাতের ওপর অবস্থিত অবৈধ ২৫টি অবৈধ টং দোকান উচ্ছেদ করে ফুটপাত দখলমুক্ত করেন।
এ সময় তিনি সিটি কর্পোরেশন (স্থানীয় সরকার) আইন, ২০০৯ এর ৭ ধারা মোতাবেক ৩টি মামলা দায়ের ও ২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ আজ দয়াগঞ্জে ড্রেনের ওপর নির্মিত ৬টি অবৈধ স্থায়ী পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ এবং ১০টি ইলেকট্রিক পোল হতে অবৈধ ক্যাবল অপসারণ করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত সিটি কর্পোরেশন (স্থানীয় সরকার) আইন, ২০০৯ এর ৭ ধারা মোতাবেক ৬টি মামলা দায়ের ও ২৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
এদিকে মশার প্রজননস্থল শনাক্তকরণে আজ ১৯তম দিনে কর্পোরেশনের ১টি ভ্রাম্যমাণ আদালত অঞ্চল-১ এর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের রমনা এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে।
কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মোহাম্মদ ফয়সালের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত এ সময় ২৮টি স্থাপনা পরিদর্শন করে দুটি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় দুটি মামলা দায়ের ও নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
অবৈধ স্থাপনা-দোকানপাট উচ্ছেদ, ক্যাবল অপসারণ এবং মশার প্রজননস্থল শনাক্তকরণে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতগুলো সর্বমোট ১১টি মামলা দায়ের ও নগদ ৫৪ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।