মোঃইয়াসিন,সাভারঃ
সাভার উপজেলার ঢাকা -আরিচা মহাসড়ক ও আশুলিয়ার নবীনগর চন্দ্রা এবং আশুলিয়া বাইপাইল মহাসড়কে চলাচল সকল সাধারন যান-বাহন চলাচলে প্রতিনিয়ত পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজির ঘটনায় থানায় গত ৪ দিনে ৭টি মামলায় দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় রুজু হওয়া পর্যন্ত ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ২, ৪, ৫,৬ জুন সাভার ও আশুলিয়া এলাকায় পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি ও অরাজকতা সৃষ্টির অভিযোগে সাভার মডেল থানায় ৪টি এবং আশুলিয়া থানায় ৩টি মামলা দায়ের হয়। এরমধ্যে সাভার মডেল থানার ৪টি মামলায় ২৫ জন আসামীর মধ্যে ১০ জনকে গ্রেপ্তার এবং আশুলিয়ায় থানার ৩ টি মামলায় ১৭ আসামীর মধ্যে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন রুটে চলাচল করা ছোট বড় সকল গণপরিবহন থেকে বিভিন্ন সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে আসছে একধিক চক্র। বিভিন্ন পরিবহন শ্রমিক সংগঠন ছাড়াও এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজরা এ চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রন করছে।
একাধিক পরিবহন শ্রমিক জানান, চাঁদাবাজদের চাঁদা না দিলে সড়কে গড়ি চলাচলে বাঁধা দেয়াসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করা হয়। মূলত সাভার ও আশুলিয়ার এলাকার সংযোগ সড়ক গুলোতে এসব চাঁদাবাজরা জোর পূর্বক চাঁদা আদায় করে থাকে।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ জানান, সম্প্রতি আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) পরিবহন সেক্টরের চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠিন হুঁশিয়ারী দেয়ার পর থেকেই এ অভিযান শুরু হয়েছে। সাভার উপজেলার দুটি থানায় পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি সংক্রান্ত ৭টি মামলার মধ্যে ৬টি দ্রুত বিচার আইনের মামলা। ইতিমধ্যে মামলার অনেক আসামীকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামীদেরও দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।