প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘হোয়াংহো আর চীনের দুঃখ নাই। আমি চাই- খালও আর নোয়াখালীর দুঃখ হয়ে থাকবে না।’
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নোয়াখালী এলাকার খাল সংস্কার ও পুনঃখনন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘নোয়াখালীর উপকূলীয় এলাকায় বাঁধ নির্মাণ করা হবে। এসব প্রকল্পের উন্নয়নের পাশাপাশি মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নও হবে। বাস্তবায়ন করা হবে নদী ড্রেজিংসহ খাল খনন কর্মসূচি’। তিনি আরও বলেন, ‘যখনই আমি নোয়াখালী গিয়েছি, তখনই আমি শুনেছি- নোয়াখালী খালের কথা। এই খালটা কেটে দিলে জলাবদ্ধতা দূর হবে। এটা আমাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল, আমরা খালটা করে দেব’।
৩২৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের আওতায় জলাবদ্ধতা নিরসন, বন্যানিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশনব্যবস্থা উন্নয়নে নোয়াখালী খাল এবং জেলার ২৩টি খালের পুনঃখনন করা হবে। সেই সঙ্গে ১৬০ বর্গকিলোমিটার এলাকার পানি নিষ্কাশনব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে।এ প্রকল্পের আওতায় ১৮২ কিলোমিটার খাল পুনঃখনন, বামনি নদীতে ড্রেজিং, স্লুইচগেট, ক্লোজার ও রেগুলেটর নির্মাণ এবং ১০ কিলোমিটার নদীতীর সংরক্ষণ করা হবে।
এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন হবে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে প্রকল্পের বাস্তবায়ন করবে। ভিডিও কনফারেন্সের ঢাকা প্রান্তে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন নোয়াখালীর এমপি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়া নতুন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক।
আর নোয়াখালী প্রান্তে জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদারসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।