রফিকুল ইসলাম সুমন, নোয়াখালীঃ
নোয়াখালীর সেনবাগে উপজেলার বীরকোট এলাকা হতে চাঁদাবাজি ও মাদকের মামলায় কথিত সাংবাদিক শাহাদাত হোসেন স্বপনকে গ্রেফতার করেছে সেনবাগ থানার এস,আই সবুজ। এসময় অপর আসামী বীরকোটের মাহমুদুর রশীদ রাজু পালিয়ে যায়।
উলেখ্য, গত ২ জুন এই বিষয়ে “সেনবাগে কথিত সাংবাদিকদের চাঁদাবাজি, প্রতিবাদ করায় ব্যবসায়ীকে হয়রানি” শিরোনামে একটি বিশদ নিউজ প্রকাশ করে সময় এক্সপ্রেস নিউজ।
সেই সূত্রে জানাগেছে, গত ৯ এপ্রিল বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যা ৭ ঘটিকার সময় কানকিরহাট পূর্ব বাজারের মার্কেটাইল ব্যাংকের সামনে সড়কের ওপর স্থানীয় বীরকোট গ্রামের মাঝি বাড়ীর আবুল কালাম আবুর পুত্র শাহাদাত হোসেন স্বপন, একই গ্রামের আবদুল ওয়াদুদ এর পুত্র মামুনুর রশিদ রাজু নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে একটি পন্যবাহী ট্রাক আটক করে গাড়ীর ড্রাইভিং লাইসেন্স সহ প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র চেক করার অজুহাতে চাঁদাবাজি করতে থাকে।
এসময় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ঢাকাস্হ সেনবাগ সেতুবন্ধন এর সভাপতি মো: ইউনুছ পাটোয়ারী বাচ্চুকে স্হানীয়রা বিষয়টি জানালে তিনি তাৎক্ষণিক এ ঘটনার প্রতিবাদ করেন। ১২ এপ্রিল ব্যবসায়ী মো: ইউনুছ পাটোয়ারী বাচ্চুকে অভিযুক্ত করে থানায় কথিত সাংবাদিকদের হত্যার হুমকি ও মারধরের মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন নামধারী সাংবাদিক মামুনুর রশিদ রাজু । এর পর রাজু ও স্বপন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মো: ইউনুছ পাটোয়ারী বাচ্চুর বিরুদ্ধে,অসম্মানজনক মিথ্যা বানোয়াট নানা রকম আপত্তিকর মন্তব্য লিখে প্রচার করেন।
এ ঘটনায় সেনবাগের উত্তরজনপদের লোকজন নড়েচড়ে বসেন। রাজু ও স্বপন নামে কথিত দু সাংবাদিকের চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন অনেকেই। তারা জানান, ফেনী, নোয়াখালী,কুমিল্লা সহ বর্ডার এলাকায় দুজনেই মাদকের রমরমা ব্যবসা করতো। এর মধ্যে ২০১৫ সালে ছাগলনাইয়া থানায় শাহাদাত হোসেন স্বপন মাদক আইনের ১৯(১)এর ৯ (ক) মামলা নং ১৬ ও রাজুর নামে ১৭ সালে ১৪৭/৪৪৭/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৫০৬/১০৯/৩৪ ধারায় মামলা নং ১৬ আসামী।
এতসবের পরও তারা মানুষকে হয়রানি করে আসছে। স্হানীয় ভূক্তভোগীরা জানান,গত ৩ জানুয়ারি পরীকোটের মাওলানা আ: হালিমের বাড়ীতে ৮ হাজার চাঁদাবাজি, বীরকোটের গরু খামারী আলী হোসেন জুয়েল থেকে ২০ হাজার, মতইনের গাড়ী চালক মীর হোসেন, পিকআপ চালক বীরকোটের মিজান, মতইনের চালক সৌরভ থেকে জোরকরে চাঁদা আদায় সহ বীরকোট পূর্বপাড়ার পিকআপ চালক সাইফুলের চলন্ত গাড়ীটি ২০ মার্চ রাত ১১ টায় থামিয়ে কাগজপত্র, লাইসেন্স আছেকিনা চার্জ করে চাঁদাদাবী করেন। একপর্যায়ে স্বপন ও রাজু জোর করে তার পকেট থেকে ৫ হাজার টাকা চিনিয়ে নেয়। তাদের দুজনের অত্যাচারে ওইজনপদের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে।
করোনার দূর্যোগে পিপিই পরে কথিত দু সাংবাদিকের মাদক চাঁদাবাজির প্রতিকার চেয়ে ২৬ এপ্রিল মো: ইউনুছ পাটোয়ারী বাচ্চু বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিলের পর থেকে উপজেলা প্রশাসন, থানা প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্হা গুলোর তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কথিত সাংবাদিক দুজন, দেশ যোগাযোগ টেলিভিশন, চ্যানেলটি ওয়ান, ডোনেট বাংলাদেশ, জাতীয় সাংবাদিক ক্লাব, দর্পণটিভি, ভোরের আলো, সিএন বাংলা টেলিভিশন, আইন বিষয়ক নিউজপোর্টাল অপরাধ ডটকম সহ নানা পরিচয়ে অপরাধ চালিয়ে আসছিলো।