নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানউল্লাপুর ইউনিয়নে আ’লীগের দুই প্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার, দলীয় কোন্দল ও পূর্ব শক্রতার জেরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংষর্ষ ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২৫ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার আমানউল্লাপুর ইউনিয়নের আমানউল্লাপুর বাজার সংলগ্ন পালোয়ান বাড়ির সামনে এ সংষর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ৪ জন গুলিবিদ্ধসহ ১৩ জন আহত হয়েছে।
ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান মাহমুদ গ্রুপ ও ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা খোকন গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। গুলিবিদ্ধরা হলেন- আমান উল্যাহপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মহেশপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে পারভেজ (২৭), ৪নং ওয়ার্ডের আইয়ুবপুর গ্রামের সফি উল্যাহর ছেলে মিজানুর রহমান পলাশ (২৬), ৮নং ওয়ার্ডের জয়নারায়ণপুর গ্রামের আবু ছায়েদের ছেলে হৃদয় (২২), ৮নং ওয়ার্ডের পশ্চিম জয়নারায়ণপুর গ্রামের নওশাদ ভূঞা’র ছেলে মো. নিশাত (২৫)।
স্থানীয়রা জানায়, রাত সাড়ে ৯টার দিকে ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকনের অনুসারীরা ১৫-২০টি মোটরসাইকেলের একটি বহর নিয়ে খোকনের বাড়ি যাওয়ার পথে সভাপতি আরিফুর রহমান মাহমুদের অনুসারীরা পেছনের কয়েকটি মোটরসাইকেলকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে।
একপর্যায়ে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা মোটরসাইকেলের বহর থেকে আরিফুর রহমান মাহমুদে অনুসারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে ৪ জন গুলিবিদ্ধ এবং সবমিলিয়ে অন্তত ৯ জন আহত হয়। এ সময় আরিফুর রহমান মাহমুদের অনুসারীরা পাল্টা ধাওয়া করলে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা ২টি মোটরসাইকেল ঘটনাস্থলে রেখে পালিয়ে যায়।
গুলিবিদ্ধ ৪ জনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত এবং গুলিবিদ্ধরা ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান মাহমুদের অনুসারী।
বেগমগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইকবাল বাহার চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গুলিবিদ্ধ ৪ জন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। তারা ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতির গ্রুপের কর্মী। অপরদিকে, সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের ৩ জন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। তবে তাদের আহত হওয়ার বিষয়টি আমরা যাচাই করে দেখছি।