নোয়াখালীর ঐতিহ্যবাহী সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান ‘ধ্রুবতারা ইয়ুথ ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (ডিওয়াইডিএফ)’ এর নির্বাহী পরিচালক অর্ক চক্রবর্তী বলেছেন, ইতিহাস আর ভবিষ্যৎ বিবেচনায় কুমিল্লার চেয়ে নোয়াখালী বিভাগ, অধিক দাবিদার।
ইতিহাস বলে নোয়াখালী জেলা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮২১ খ্রিষ্টাব্দে (মতান্তরে ১৮৬৮ সালে)। অন্যদিকে কুমিল্লা জেলা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬০ সালে। আয়তনের দিক থেকেও কুমিল্লার চেয়ে নোয়াখালীর আয়তন বড়। নোয়াখালীর আয়তন ৪২০২ বর্গকিমি, যা ক্রমাগত বাড়ছে। অন্যদিকে কুমিল্লার আয়তন ৩০৮৭.৩৩ বর্গকিলোমিটার। সংস্কৃতির কথা বললে নোয়াখালীর ভাষা সংস্কৃতি, কুমিল্লার চেয়ে বহুগুনে বিস্তৃত।
নোয়াখালীর অধীনে বঙ্গোপসাগরে নিয়মিতই জেগে উঠছে বিস্তীর্ণ ভুখন্ড বা চর। নিয়মিত জনসংখ্যার বৃদ্ধিতে যা একসময় বিশাল জনপদে পরিনত হবে এবং যার পরিমান বর্তমান নোয়াখালীর সমান বা বেশী হবে। এ কারনেও কুমিল্লা না হয়ে কাছাকাছি নোয়াখালীতে বিভাগ হলে, অদুর ভবিষ্যতে সেসব এলাকার উন্নয়নেও ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। এছাড়াও ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, আয়তনের দিক থেকেও নোয়াখালীই বিভাগের দাবীদার।
নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষীপুর এ তিন জেলা ছাড়াও পাশ্ববর্তী চট্টগ্রামের কিছু অংশ, স্বন্দীপ, মনপুরা এবং কুমিল্লারই বেশ কিছু অংশ নোয়াখালীর সংস্কৃতিতে চলে এসেছে হাজার বছর ধরে। তাই বলা চলে বিভাগ হওয়ার যোগ্য দাবীদার, হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী নোয়াখালীই।