ঈশ্বরদী উপজেলায় প্রাণঘাতি ভাইরাসে ২৪ ঘন্টায় আরও একজন আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর বয়স ৩০ এর মধ্যে। সে উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের আসনা এলাকারা বাসিন্দা ও লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আউটসোর্সিং ওটি বয় হিসেবে কর্মরত।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসমা খান। তিনি জানান, গেল ৫ মে ওই ব্যক্তির করোনা ভাইরাসে সংক্রমণের উপসর্গ দেখা দিলে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার (১২ মে) রাতে একটি রিপোর্ট হাতে পেলে তাঁর পজিটিভ আসে।
তিনি আরও জানান, নতুন আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়াধীন এবং তিনি এখন শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন। সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে তাঁর পরিবারের ১২ সদস্যের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিহাব রাহয়ান জানান, জরুরি ই-মেইল বার্তায় ওই ওটি বয়ের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে জানার পর বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে উপজেলায় মোট ৩ জনের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়। এই ব্যক্তি নাটোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টাফ। তাঁর শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দিলে রাজশাহীতে করোনা পরীক্ষা করার জন্য নমুনা পাঠানো হয়। শুক্রবার (০৮ মে) রিপোর্ট পজেটিভ এলে বিষযটি নিশ্চিত হন চিকিৎসকরা।
এদিকে গেল ৫ মে ঈশ্বরদী পৌরসভার রহিমপুরের খলিলের মোড় এলাকার বাসিন্দা ও জাসদ নেতা কিডনি রোগ ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। সোমবার (১১ মে) রাত ১১টার দিকে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষায় তাঁর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।