ঈশ্বরদীতে বাজারে ভ্রামমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। ঈশ্বরদী বাজারে প্রশাসনের দোহাই দিয়ে চলছে ব্যাপক চাঁদাবাজি। প্রতিটি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা চাঁদা উত্তোলন করছে একটি মহল। এরই মধ্যে ১০ লক্ষেরও বেশি টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে শর্ত সাপেক্ষে ১০ মে থেকে সীমিত আকারে মার্কেট-দোকানপাট খোলার সুযোগ দিয়েছে সরকার। তবে ঈশ্বরদীতে মার্কেট ও দোকানগুলোতে এ নিষেধ কেউ তোয়াক্কাই করে না। ফলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া আশঙ্কায় গেল ১৯ মে মার্কেট ও দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন পাবনা জেলা প্রশাসন।
তবে সরকারি নির্দেশে দোকানপাট বন্ধ রাখে ব্যবসায়ীরা। কিন্তু উপজেলার যুবলীগের সাবেক এক নেতার ছেলে, ভাতিজাসহ তিন-চার জন অসাধু ব্যবসায়ী প্রতারণা করে উপজেলার প্রশাসকের দপ্তর, সেনাবাহিনী এবং পুলিশকে ম্যানেজ করে দোকান খোলা যাবে বলে টাকা উত্তোলন করে।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগে আরও জানান, যাঁরা চাঁদা দিতে চান না তাঁদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। এমনকি নির্ধারিত টাকা না দিলে প্রশাসন নানাভাবে হয়রানি করবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ফলে ভয়ভীতির কারণে ইচ্ছার বিরুদ্ধেই চাঁদা দিতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন দোকান মালিক বলেন, চাঁদা তোলার সময় বলা হয়েছে ডিসি অফিসের এলআর ফান্ড, উপজেলা প্রশাসনসহ স্থানীয় পুলিশকে এ টাকা দেওয়া হবে।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে শনিবার (২৩ মে) সকালে ঈশ্বরদী বাজারে কিছু ব্যবসায়ী দোকান খোলা রেখে ব্যবসা পরিচালনা করলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ মহল বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন। নির্দেশনা অমান্য করে দোকান খোলা রাখার জন্য কয়েকজন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়।
এসময় তিনি মাইকিং করে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘টাকা দিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করার নামে কেউ গুজব ছড়াবেনা। আর যারা আমাদের ম্যানেজ করার কথা বলে টাকা নিবে তাদের ধরিয়ে দিন। এছাড়ও তিনি করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঈশ্বরদী বাজারের সকল ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা কামনা করেন।’
যোগাযোগ করা হলে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: ফিরোজ কবির বলেন, ‘এ ধরনের চাঁদা নেওয়ার ঘটনা শুনেছি, প্রতারকদের ধরতে অভিযান চলছে।’