রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় পারুল বেগম নামের এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগকে কেন্দ্র করে ইন্টার্ণ চিকিৎসক ও রোগীর স্বজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় ৪৬ নং ওয়ার্ডের এই ঘটনায় ইন্টার্ন চিকিৎসকরা একজোট হয়ে ওই নারীর ছেলে রাকিবুল হক লিটকনকে মারধর করেন। এরপর মায়ের মরদেহ আটকে রেখে ছেলে রাকিবুলকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন ইন্টার্ণ চিকিৎসকেরা। এরআগে ছেলে রাকিবুলকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন এবং এই দৃশ্য মোবাইলেও ধারণ করেন ইন্টার্ণ চিকিৎসকেরা।
অন্যদিকে মৃত পারুল বেগম চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার আটরশিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ইসাহাক আলীর স্ত্রী। ঘটনার দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা পর মুচলেকা দিয়ে স্ত্রীর মরদেহ রামেক হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে নেন ইসাহাক আলী। সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ইসাহাক আলী অভিযোগে বলেন, সুচিকিৎসা নিশ্চিতে সরকারের বারবার নির্দেশনার পরও ইন্টার্নদের বেপরোয়া আচরণ একটুও কমেনি। উল্টো নিরাপত্তার কথা বলে তারা রামেক হাসপাতালে বিক্ষোভ করেছেন।
তার স্ত্রী পারুল বেগম ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। বুধবার সকালে মাথায় প্রচণ্ড ব্যথায় প্রায় অচেতন হয়ে পড়েন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়, মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। সকাল ৭টার দিকে তাকে রামেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা।হয়। পৌনে ৮টার দিকে প্রথমে রোগীনি পারুল বেগমকে পাঠানো হয় ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে। সেখানে তখন কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। রোগী বেশ কিছুক্ষণ মেঝেতেই পড়ে ছিলেন।
আধা ঘণ্টা পর পারুল বেগমকে ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। ওই সময় ওয়ার্ডে দায়িত্বরত ইন্টার্ণ চিকিৎসক শোভন সাহার কাছে গিয়ে মাকে দেখার অনুরোধ করেন শিক্ষা কর্মকর্তা রাকিবুল হক লিটন। শোভন সাহা তাকে বলেন, তার ডিউটি শেষ। পরের চিকিৎসক এসে দেখবেন। এরপর লিটন যান আরেক ইন্টার্ণ চিকিৎসক আব্দুর রহিমের কাছে। তিনিও জানিয়ে দেন, রোগী দেখতে পারবেন না। এভাবেই কেটে যায় আধঘণ্টা। চিকিৎসা ছাড়াই পারুল বেগম মারা যান।রোগীর অন্যান্য স্বজনরা জানান, চিকিৎসা ছাড়াই মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় ছেলে রাকিবুল ওয়ার্ডের ভেতরেই উচ্চস্বরে কান্নাকাটি করছিলেন আর চিকিৎসকদের দোষারোপ করছিলেন।
ওই সময় ইন্টার্ণ চিকিৎসক শোভন সাহা ও আব্দুর রহিম রাকিবুলের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তি করেন। এরপরই দুই ইন্টার্ণ অন্যান্য সহকর্মীদের ফোন করে ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে ডেকে এনে রাকিবুলকে আটক ও মারধর করেন। পরে রোগীর স্বজনদের ওয়ার্ড থেকে বের করে দিয়ে পারুল বেগমের মরদেহ আটকে পাহারা বসান ইন্টার্ণ চিকিৎসরা। দুপুর সোয়া ১টায় ইসাহাক আলী লিখিত ক্ষমা চেয়ে হাসপাতাল থেকে স্ত্রীর মরদেহ নিয়ে যান। তবে পুলিশ ডেকে তার ছেলে রাকিবুলকে রাজপাড়া থানার ওসির কাছে হস্তান্তর করেন ইন্টার্ণ চিকিৎসকরা। ইসাহাক আলী আরও বলেন, আমরা হাসপাতালের ডাক্তারদের যে ভয়ংকর চেহারা দেখলাম; তা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ভুলবার নয়। যেখানে মানুষ বাঁচার জন্য আসে, সেখানে জনগণের সঙ্গে কি দুর্ব্যবহারটাই না করলেন তারা।
আমার ছেলেকে অন্যায়ভাবে মারধোর করে পুলিশেও দিয়েছেন তারা। সে তার মায়ের মরা মুখটাও দেখতে পারবে না। এরা কোনো সমাজের মানুষ? এ অরাজকতার প্রতিকার কী? এ ব্যাপারে রামেক হাসপাতাল ইন্টাণ চিকিৎসক পরিষদের নেতা মিজান বলেন, পারুল বেগমের ছেলে রাকিবুলের হামলায় ইন্টার্ণ ডাক্তার শোভন সাহা ও আব্দুর রহিম আহত হয়েছেন।
সূত্রঃ ইত্তেফাক
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
নির্বাচনের আগে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিদেশি সংস্থা, মিডিয়া ও বিভিন্ন দেশের মনোযোগ নেয়ার…
হিরো আলম রবীন্দ্র সঙ্গীত গাওয়ার পর সারা দেশে হইচই শুরু হয়ে যায়। এমনকি ওই প্রতিবাদের…
বর্তমানে পশ্চিমা বিশ্বের সাথে সেমিকন্ডাক্টর চিপ নিয়ে বড় ধরনের যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে রেড জায়ান্ট চীন।…
Leave a Comment