রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৬০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এ নিয়ে বিভাগটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে। বুধবার (২০ মে) দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বিভাগের আট জেলায় এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪৪৯ জনের। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৪৫ জন। করোনায় প্রাণ গেছে তিনজনের। তবে করোনা জয় করে ঘরে ফিরেছেন ৭৬ জন।
ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য জানান, বিভাগে করোনার হটস্পট জয়পুরহাট জেলায় সব মিলিয়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১১৫ জনের। তবে গত ৪৮ ঘণ্টায় এই জেলায় করোনা শনাক্ত হয়নি। জেলার ১০৯ জন করোনা রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। করোনা জয় করে ঘরে ফিরেছেন ৩৩ জন।
বিভাগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করোনা করোনা শনাক্ত হয়েছে বগুড়ায় ৯৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭ জনের। এখানকার ২৪ জন করোনা রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। করোনা জয় করেছেন বগুড়ার ১৪ জন।
নওগাঁয় বিভাগে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৮৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৬ জনের। করোনা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এখানকার ৪ জন। এরই মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়নি নাটোরে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় নাটোরে ৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এ জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ জন। এখানকার কোনো করোনা রোগী এখনও হাসপাতালে ভর্তি হননি। করোনায় এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন নাটোরের একজন। গত ২৪ ঘণ্টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫ জনের। এ নিয়ে এ জেলায় করোনা রোগী সংখ্যা ৪২ জনে দাঁড়িয়েছে।
এর আগের দুই দিনে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২১ জনের করোনা ধরা পড়ে। এখানকার ৩ জন করোনা রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। করোনা জয় করেছেন দুইজন।
নতুন দুইজনের দেহে করোনা শনাক্ত হওয়ায় রাজশাহীতে আক্রান্ত দাঁড়ালো ২৩ জনে। এখানকার ৪ করোনা রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। করোনা জয় করেছেন জেলার ৭ জন। এ পর্যন্ত করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন রাজশাহীর একজন।
গত ২৪ ঘণ্টায় পাবনায় ৮ জনের এবং সিরাজগঞ্জে ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে পাবনায় ২৫ এবং সিরাজগঞ্জে ১৯ জনের করোনা শনাক্ত হলো। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জে ৩ জন এবং পাবনায় একজন করোনা জয় করেছেন। এছাড়া করোনায় সিরাজগঞ্জে একজনের প্রাণ গেছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবে, বিভাগে এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয় ৩৪ হাজার ১০ জনকে। এর মধ্যে কোয়ারেন্টাইন শেষ করেছেন ২৫ হাজার ৬৮১ জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে ৫১৫ জনকে। এদের ৩১৭ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন শেষ করেছেন। চিকিৎসার জন্য ৩৬৫ জনকে আইসোলেশনে নেয়া হলেও ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৪৩ জন।