রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গেল ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে শুক্রবার (৯ জুলাই) সকাল ৯টার মধ্যে মারা যান তারা।
শুক্রবার (৯ জুলাই) সকালে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগের দিনও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল এই হাসপাতালে।
শামীম ইয়াজদানী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১৮ জন মারা গেছেন, তাদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। এ ছাড়া ১৫ জন করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। মারা যাওয়া ১৮ জনের মধ্যে ১০ জনের বাড়ি রাজশাহী জেলায়।
এ ছাড়া নওগাঁর দুজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুজন, নাটোরের দুজন, সিরাজগঞ্জের একজন এবং কুষ্টিয়ার একজন মারা গেছেন। করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন তারা।
রামেক হাসপাতাল পরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ চারজন মারা গেছেন রামেক হাসপাতালের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে। এ ছাড়া নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ) ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডে তিনজন করে, ১৫ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে দুজন করে এবং ৩, ৪, ১৬ ও ২২/৩০ নম্বর ওয়ার্ডে একজন করে মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে মারা গেছেন রাজশাহীর দুজন ও নওগাঁর একজন। এ ছাড়া উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ১৫ জনের মধ্যে রাজশাহীর ৮ জন, দুজন করে নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের এবং একজন করে নওগাঁ, কুষ্টিয়া ও সিরাজগঞ্জের বাসিন্দা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের মরদেহ দাফনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
৪৫৪ শয্যার করোনা ইউনিটে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত রোগী ভর্তি রয়েছে ৫০১ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে ভর্তি রয়েছে ২০ জন। করোনা নিয়ে এ পর্যন্ত ভর্তি রয়েছে ২০৬ জন। এ ছাড়া উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছে ২৩১ জন। করোনা ধরা পড়েনি হাসপাতালে ভর্তি ৬৪ জনের নমুনায়। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭৪ জন। এই এক দিনে হাসপাতাল ছেড়েছে ৫২ জন।
বৃহস্পতিবার (০৮ জুলাই) রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল ল্যাবে ২৮২ জনের এবং রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ পিসিআর ল্যাবে ২৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে রামেক হাসপাতাল ল্যাবে ৩২ ও রামেক ল্যাবে ৭২ জনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষার অনুপাতে রাজশাহীর ১৮ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২০ দশমিক ৪৮ শতাংশ নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে।
প্রসংগত গত ১ জুলাই ২২ জন, ২ জুলাই ১৭ জন, ৩ জুলাই ১৩ জন, ৪ জুলাই ১২ জন, ৫ জুলাই ১৮ জন, ৬ জুলাই ১৯ জন, ৭ জুলাই ২০ জন এবং ৮ জুলাই ১৮ জন প্রাণ হারিয়েছে রামেক হাসপাতালে। গত ২৯ জুন করোনা ইউনিটে সর্বোচ্চ ২৫ জন মারা যায়। করোনা সংক্রমণ শনাক্তের পর হাসপাতালে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড এটি।
গত বছরের এপ্রিল থেকে এই বছরের জুন পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে সাত হাজার ১৬১ জন রোগী। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে গেছে পাঁচ হাজার ৯২৭ জন। এই ১৪ মাসে মারা গেছে এক হাজার ৭৮ জন। এর মধ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৪৬ জনের। অন্যদের মৃত্যু হয়েছে উপসর্গ নয়তো অন্যান্য শারীরিক জটিলতায়।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
Leave a Comment