করোনা সংক্রমণ রোধে রংপুরে সর্ববৃহৎ লালবাগ পশুরহাটসহ ৩৫টি হাট বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। রবিবার (০৪ জুলাই) ছিল লালবাগের হাট। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাব, পুলিশ গিয়ে হাট বন্ধ করে দেন। ফলে অনেকেই গরু বিক্রি করতে এসে ফিরে গেছেন। সেই সাথে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন হাটের ইজারাদাররাও।
রংপুর নগরীতে সবচেয়ে বড় হাট লালবাগ। কোরবানির ঈদের প্রধান আকর্ষণ এই হাট। সপ্তাহে দুইদিন রবি ও বুধবার এই হাট বসে। ঈদের এক মাস আগে থেকে এখানে কোরবানির পশু কেনাবেচা চলে।
সারা দেশে কঠোর লকডাউন চলছে। পশুরহাটের জনসমাগম বৃদ্ধি পেলে করোনা সংক্রণ বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই স্থানীয় প্রশাসন নগরীর লালবাগ, বুড়িরহাটসহ জেলার প্রায় ৩৫টি পশুরহাট বন্ধ ঘোষণা করেছেন।
লালবাগহাটের ইজারাদার আব্দুল্লাহিল কাফি জানান, প্রায় আড়াই কোটি টাকায় হাটের ডাক নেওয়া হয়েছে। হাটের সবচেয়ে বড় আয়ের উৎস কোরবানির পশু বেচাকেনা। এসময় হাট বন্ধ থাকলে তারা লোকসানের মুখে পড়বেন।
জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বিকেলে জানান, করোনা সংক্রমণ রোধে আপাতত পশুর হাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্তের আলোকে জেলার সবকটি পশুর হাট পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।