চলমান কঠোর লকডাউনে সড়ক দিয়ে আসছে সাদামাটা একটি মাইক্রোবাস। নেই কোনো সাজসজ্জা। দেখে সর্বোচ্চ মনে হতে পারে একটি যাত্রীবাহী গাড়ি। কিন্ত গাড়িটি থামাল লকডাউনে দায়িত্বরত পুলিশ সার্জেন্ট। গেট খুলতেই চমকে গেলেন পুলিশ। ভেতরে লাল বেনারসি পড়া নববধূ। বর-কনেসহ গাড়িতে মোট ৯জন।
এ যেন এক প্রকার ‘সীমিত পরিসরে বিয়ে’। তবুও চলমান লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করায় বর-কনেকে গুনতে হয়েছে জরিমানা।
শুক্রবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে সিলেটের প্রবেশদ্বার দক্ষিণ সুরমার ‘হুমায়ূন রশিদ চত্বর’ এলাকায় গাড়ি আটকে তাদেরকে এ জরিমানা করা হয়।
বর-কনেবাহী মাইক্রোবাসটি থামান মহানগর পুলিশের কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট। ঘটনাটি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এরশাদ আলীর ভ্রাম্যমাণ আদালতকে ফোনে জানানো হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত এসে লকডাউন বিধিনিষেধ অমান্য করায় বর-কনেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
বর মো. জামাল হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারাইনপুরের মো. সূর্য মিয়ার ছেলে। তবে তারা বর্তমানে তিনি সিলেট নগরের ছড়ারপাড় এলাকার একটি কলোনিতে ভাড়া থাকেন। নববধূ মোছা. বীণা বেগম কুমিল্লা সদরের আমির হোসেনের মেয়ে এবং দক্ষিণ সুরমার মমিনখলা এলাকায় একটি কলোনিতে ভাড়া থাকেন।
বরযাত্রীরা জানান, লকডাউন ঘোষণার আগেই মমিনখলা এলাকার ওই কনের সঙ্গে বিয়ের তারিখ ধার্য করা হয়েছিল। তারিখ পেছাতে না পারায় তারা এই কঠোর লকডাউনে সীমিত পরিসরে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। বিয়ে শেষে কনে নিয়ে নগরের ছড়ারপাড়ের বাসায় ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে।
দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মনিরুল ইসলাম জানান, কঠোর লকডাউন অমান্য করে বিয়ের আয়োজন করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এরশাদ আলী বর-কনেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।