মোঃইয়াসিন,সাভার প্রতিনিধি:
হঠাৎ করে কারখানা বন্ধের ঘোষণার প্রতিবাদে ঢাকার সাভারের উলাইলে কেএল ডিজাইনের পোশাক শ্রমিকেরা বিক্ষভ সমাবেশ করে।
সোমবার(২৭এপ্রিল)ঢাকার সাভারে কেএল ডিজাইন লিঃ পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা সকালে কারখানার মূল ফটকে ছুটির নোটিশ দেখে কারখানা খোলার দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। নোটিশে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক ক্রয় আদেশ বাতিল হয়ে যাওয়ায় আগামী তিন মাস কারখানাটিতে কোনো কাজ থাকবে না। এ কারণে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হলো।চলমান রমজান মাস ও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে শ্রমিকেরা দিশেহারা হয়ে বিক্ষভে যুক্ত হয়েছেন বলে জানান উক্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাধারন শ্রমিকেরা।
এদিকে,কারখানা চালু হওয়ার পরপরই কাজ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন আশুলিয়ার নরসিংহপুরের শারমীন গ্রুপের শ্রমিকেরা। একপর্যায়ে শ্রমিকেরা কাজ না করে কারখানা থেকে বের হয়ে যান।এই কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, বর্তমান অবস্থায় শ্রমিকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে গত শনিবার কারখানা খোলার দিন দুই শিফট চালু করা হয়েছিল। অর্ধেক শ্রমিক সকাল ছয়টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত আর বাকি অর্ধেক শ্রমিক বেলা আড়াইটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কাজ করছিলেন।
এতে শ্রমিকেরা পারস্পরিক দূরত্বে বসে কাজ করতে পারতেন। কিন্তু শ্রমিকেরা এক শিফট চালু করার দাবি জানান। তাদের দাবি অনুযায়ী আজ থেকে এক শিফট চালু করা হয়েছিল। এরপরও আজ শ্রমিকেরা কর্মস্থলে উপস্থিত হয়ে কারখানা থেকে বের হয়ে যান। পরে অবশ্য আলোচনার ভিত্তিতে তাঁরা কাজে ফিরতে সম্মত হয়েছেন।পাশ্ববর্তী হা-মীম গ্রুপের শ্রমিকেরা আজ কর্মস্থলে উপস্থিত হয়ে বর্তমান অবস্থায় কাজ করত না চাওয়ায় কারখানাটি বন্ধ ঘোষনা করা হয়।
অন্যদিকে জামগড়ার নেক্সট কালেকশন কারখানার শ্রমিকেরা কাজ করতে অপারগতা প্রকাশ করে কারখানা থেকে বের হয়ে যায় বলে যানা যায়।
আশুলিয়ার সিগমা ফ্যাশনসের ছাঁটাই হওয়া শ্রমিকেরা বেলা ১১টার দিকে কারখানার সামনে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এ সময় তাঁরা ছাঁটাইয়ের আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপতি তাসলিমা আখতার বলেন, মালিক ও বিজিএমইএর পক্ষ থেকে পোশাক কারখানা বন্ধ ও খোলার বিষয়ে একেক সময় একেক ঘোষণা দেওয়ায় শ্রমিকেরা বিভ্রান্তিতে পড়ছেন। এসব কারণে শ্রমিকেরা কর্মস্থলে উপস্থিত হলেও অনেক কারখানার শ্রমিকেরা নিজেদের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা ভেবে কাজ করতে চাচ্ছেন না।