করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলিউডের শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন এবং ছেলে অভিনেতা অভিষেক বচ্চন। আক্রান্ত হওয়ার পর নিজ নিজ টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তারা। ভারতে করোনাভাইরাসের লকডাউনের পর থেকে বাড়িতেই ছিলেন অমিতাভ বচ্চন। তাহলে করোনা সংক্রমণ হলো কী করে? এই প্রশ্নই ঘুরছে ভক্তদের মনে।
ট্যুইট করে তিনি জানিয়েছেন যে তিনি করোনা আক্রান্ত। তাঁর নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তাঁর পরিবারের সদস্য ও স্টাফদেরও পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনা সামনে আসার পরেই অমিতাভর বাংলোর বাইরে কনটেনমেন্ট জোনের নোটিশ দিয়েছে বৃহন্মুম্বই পৌরসভা।
শনিবার রাতে তাঁকে মুম্বাইয়ের নানাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছেন। তাঁর শারীরিক স্বাস্থ্য নিয়ে আশঙ্কার মেঘ তৈরি হয় ভক্তদের মধ্যে। এরপর নিজের অসুস্থতার কথা নিজেই জানিয়েছেন বিগ বি।
বচ্চন পরিবারের কর্মচারীদের কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। রবিবার সকালেই প্রতীক্ষা, জলসা ও জন্নত – বচ্চন পরিবারের এই তিনটি বাংলো জীবাণুমুক্ত করছে বৃহন্মুম্বই পৌরসভা। পৌরসভার তরফে বচ্চন পরিবারের সংস্পর্শে আসা ৩০ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু এই খবর শনিবার রাতে প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে সবাই।
সম্প্রতি বাড়ির বাইরেও কখনো বের হননি। বরং বারবার সবাইকে করোনা নিয়ে সবাইকে সতর্ক করেছেন। তবে কাজের সূত্রে বাইরে বের হন অভিষেক ও বচ্চন পরিবারের কর্মচারীরা। তাঁদের থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
সবার একটাই প্রশ্ন, কীভাবে আক্রান্ত হলো গোটা বচ্চন পরিবার। কীভাবে পরিবারের একের পর এক সদস্যের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ল মারণ এই সংক্রমণ? আর সেটাই এখন খুঁজে বার করাটা চ্যালেঞ্জ পৌরসভার কর্মকর্তাদের। কারণ লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই নিজেকে ঘরবন্দি রেখেছেন অমিতাভ।
ডাবিং স্টুডিও থেকে অভিষেকের সংক্রমণ হয়েছে। কারণ গত কয়েকদিন ধরে একটি সিনেমার কাজের সূত্রে প্রত্যেক দিনই ডাবিংয়ে যাচ্ছিলেন জুনিয়ার বচ্চন। স্টুডিওতে গিয়ে ডাবিং চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সেখান থেকেই করোনার সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অভিষেকের থেকেই সংক্রমিত অমিতাভ বলে ধারণা। যদিও বচ্চন পরিবার থেকে সরাসরি এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি এখনো পর্যন্ত।
শনিবার অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন এবং অভিষেক বচ্চনের শরীরে মেলে কভিড-১৯। গতকাল শনিবার যদিও জানা গিয়েছিল যে ঐশ্বরিয়ার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। কিন্তু সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী রবিবার ঐশ্বরিয়া এবং আরাধ্যার রিপোর্টও পজিটিভ আসে। আপাতত ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন এবং তাঁর কন্যা আরাধ্যা তাঁরা দুজনেই হোম আইসোলেশনে রয়েছেন বলে জানা গেছে। আতঙ্কের কিছু নেই বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
অন্যদিকে, করোনায় আক্রান্ত বচ্চন পরিবার। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই দেশজুড়ে প্রার্থনা চলছে।