ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির জবাই করা পশুর বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করেছ ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। এ কাজে যুক্ত রয়েছেন সাড়ে ১৭ হাজার কর্মী।
ঢাকা উত্তর (ডিএনসিসি) ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘কোরবানির বর্জ্য দ্রুত অপসারণের জন্য নগরীতে ২৫৬টি স্থান চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে। ঈদের দিন প্রায় ১০ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হবে। প্রতিবছরের মতো এবারও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করা হবে।
বর্জ্য অপসারণের জন্য ভারি ও হালকাসহ তিন শতাধিক যানবাহন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া ১২টি পানির গাড়ির মাধ্যমে স্যাভলন ও ব্লিচিং মিশ্রিত পানি ছিটিয়ে কোরবানির স্থান দূষণমুক্ত করা হবে। পরিবেশ সুরক্ষা ও দূষণমুক্ত রাখতে ৪২ টন ব্লিচিং পাউডার ও ১৮০০ লিটার তরল জীবাণুনাশক ছিঁটানো হবে।
মাঠপর্যায়ে ডিএনসিসির নিজস্ব, আউটসোর্সিং এবং প্রাইমারি ওয়েস্ট কালেকশন সার্ভিস প্রোভাইডার কর্মীসহ ১১ হাজার ৫০৮ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী মাঠে থাকবে।
অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, কোরবানি উপলক্ষে প্রায় ৫ হাজার ৫০০ টন বর্জ্য উৎপন্ন হবে। বর্জ্য সংরক্ষণের জন্য ডিএসসিসি থেকে প্রায় ১ লাখ বিশেষ ধরনের ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে। ডিএসসিসির ৭৫টি ওয়ার্ডের ৭৫টি নির্দিষ্টস্থানে পশু জবাই করার জন্য বলা হয়েছে। এজন্য জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১ লাখ লিফলেটও বিতরণ করা হয়েছে।
শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘বর্জ্য অপসারণে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় বর্জ্য অপসারণ করা হবে। কোরবানির পর যে বর্জ্য সৃষ্টি হবে, আমরা তা দুপুর ২টা থেকে সম্পূর্ণরূপে অপসারণের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। এবারও আমরা ঢাকাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে পারব। পরিচ্ছন্নতাকর্মী থেকে শুরু করে কর্মকর্তা-কর্মচারী কেউ ছুটিতে নেই।