কোরবানিকৃত পশুর বর্জ্য অপসারণে কাজ করছে প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার পরিছন্নতাকর্মী। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পেরেশনের (ডিএনসিসি) পরিচ্ছন্নতাকর্মী রয়েছে ১১ হাজার ৫০৮ জন। বাকী সাড়ে ৬ হাজারের অধিক পরিচ্ছন্নতাকর্মী দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি)।
শনিবার সকাল ১০টা থেকে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা মহানগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে বিচ্ছিন্নভাবে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের কাজ করতে থাকে। তবে দুপুরের পর আনুষ্ঠানিকভাবে বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু হয়।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ উভয় সিটি কর্পোরেশনই প্রথম দিনে অর্থাৎ আজ শনিবার জবাইকৃত কোরবানির পশুর বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আপসারণ করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
উত্তর ও দক্ষিণ উভয় সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিসহ বর্জ্য বহনের পর্যাপ্ত সংখ্যক যান নিয়ে বর্জ্য অপসারণের কাজে নেমেছে। এছাড়াও পবিত্র ঈদুল আজহার আগেই নগরীর সকল ওয়ার্ডে ময়লা-আবর্জনা রাখার ব্যাগ বিতরণ করা হয়।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম দুপুর ২টায় রাজধানীর ভাটারা সাইদনগরে কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
অপরদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পেরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস আনুষ্ঠানিকভাবে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম উদ্বোধন না করলেও তিনি জানান, আজ দুপুর ২টা থেকে বর্জ্য অপসারণ কাজ শুরু হবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ঈদুল আজহা উপলক্ষে বর্জ্য অপসারণে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ২৪ ঘণ্টায় কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারিত করা হবে।
আজ সকালে বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাতে অংশগ্রহণ শেষে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ আমরা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন করব, কোরবানি দেব। কোরবানির পর পশুর যে বর্জ্য সৃষ্টি হবে, আমরা সে বর্জ্য দুপুর ২টা থেকে সম্পূর্ণরূপে অপসারণের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।
পরিচ্ছন্নতাকর্মী থেকে শুরু করে কর্মকর্তা-কর্মচারী কেউ ছুটিতে নেই জানিয়ে মেয়র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারিত হবে বলে আশা করেন।
মেয়র বলেন, অত্যন্ত সুন্দর, ‘সুশৃংখলভাবে এবার কোরবানির হাট পরিচালিত হয়েছে। হাট পরিচালনার পর রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে কোরবানির পশুর হাট-কেন্দ্রিক বর্জ্য অপসারণ শুরু করেছি। ইতিমধ্যে পশুর হাটের প্রায় শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছি।’
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকার যেকোনো নাগরিক ফোন করে বর্জ্য অপসারণ সংক্রান্ত তথ্য জানাতে কন্ট্রোল রুম চালু করেছে। সংশ্লিষ্ট নগরীর অধিভূক্ত এলাকার যেকোনো নাগরিক বা গণমাধ্যমকর্মী এই নম্বরে ফোন করে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ জানালে তা অপসারণে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
ডিএনসিসি’র কন্ট্রোল রুমের নম্বর: ০২-৫৮৮১৪২২০; ০৯৬০-২২২২৩৩৩; এবং ০৯৬০-২২২২৩৩৪ এবং ডিএসসিসি’র কন্ট্রোল রুম নম্বর- ০১৭০৯৯০০৭০৫ এ নাগরিকরা ফোন করতে পারবেন।
গত বছরের ঈদুল আজহায় কোরবানি থেকে প্রায় ৪০ হাজার টন বর্জ্য হয়। এবার করোনা পরিস্থিতিতে পশু কোরবানি কম বলে ধারণা করছে দুই সিটি কর্পোরেশন। তবুও এ পরিমাণ বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েই কাজ করা হচ্ছে বলে জানান সিটি কর্পোরেশন সংশ্লিষ্টরা।