জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভুয়া তথ্যের ছড়াছড়ি। প্রথম দিকে প্রতিষ্ঠানটি এইসব ভুয়া তথ্য শনাক্ত করতে হিমশিম খেয়েছে। তবে এখন এবিষয়ে অনেকটাই সফল।
বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে ইউরোপ-পশ্চিমায় ভুল তথ্য ছড়ানো প্রতিরোধে এবং অনলাইনে প্রাপ্ত খবরের গুণগত মান উন্নয়নে থার্ড পার্টি ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রাম চালু রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশেও ভুয়া তথ্যের ছড়াছড়িতে বিভ্রান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ ও সরকার। ফলে এবার বাংলাদেশেও থার্ড পার্টি ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রাম চালু করল ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
ইউএনবি জানায়, ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাক্ট চেকিং নেটওয়ার্ক (আইএফসিএন) অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান বিওওএম (বুম) এর সঙ্গে অংশীদার হয়ে কাজ করবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি।
রবিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ফেসবুক জানায়, আজ থেকে বুম বাংলাদেশের ফেসবুক কমিউনিটিতে ছবি ও ভিডিওসহ অন্যান্য স্টোরিগুলোর যথার্থতা পর্যালোচনা করবে এবং সেগুলো নিয়ে একিউরেসি রেটিং প্রদান করবে।
থার্ড পার্টি ফ্যাক্ট-চেকাররা কোনো পোস্টকে অসত্য হিসেবে রেটিং দিলে সেটি নিউজ ফিডে কম দেখাবে বা একেবারে নিচের দিকে চলে যাবে। এতে ওই অসত্য পোস্টটিকে ভাইরাল হওয়া থেকে রোধ করা যাবে।
বিশ্বে যতো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে মরণঘাতি করোনা ভাইরাস, সেই একই গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে গুজবও। শুধু মার্চ মাসেই করোনা ভাইরাস নিয়ে চার কোটি গুজবের পোস্ট ছড়ানো হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এ।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানায়, ভুল তথ্যের ওই পোস্টগুলো ‘সতর্কতা’ লেবেল দিয়ে মিথ্যা সংবাদ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ফেসবুকের ভাইস প্রেসিডেন্ট গ্যায় রোজেনের বরাত দিয়ে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন জানায়, ক্ষতিকর তথ্যের জন্য কয়েক কোটি পোস্ট ফেসবুক থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
গ্যায় রোজেন জানান, ‘ব্লিচ পানে করোনা দূর হবে’ কিংবা ‘সামাজিক দূরত্ব মানার প্রয়োজন নেই’ এমন সব মিথ্যা তথ্যের মারাত্মক পরিণতি বিবেচনা করে সেগুলোকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এর বাইরে চার কোটি পোস্টে ‘সর্তকতা’ লেবেল দেওয়া হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক বিশ্বের প্রায় ৬০টি তথ্য অনুসন্ধান সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে। রোজেন বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় ৫০ ভাষার ফেইসবুক পোস্ট যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।