মাদকাসক্ত অবস্থায় অভিনেতা জোর করে তার সঙ্গে শারীরিকভাবে ঘনিষ্ঠ করান বলে দাবি কঙ্গনার। কঙ্গনা বলেন, ‘মাত্র ১৬ বছর বয়সে আমি মানালি ছেড়েছিলাম। তখন চন্ডীগড়ে একটি প্রতিযোগিতায় জিতে এক সংস্থার মাধ্যমে মুম্বাই আসি। তখন কাউকে চিনতাম না। মুম্বাই শহরে এসে একটা হোস্টেলে উঠি। পরে এক আন্টির সঙ্গে থাকা শুরু করি। তখন একজন চরিত্র অভিনেতার সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় আমার।
তিনিই আমাকে বলিউডের কাজের সুযোগ করে দেয়ার আশ্বাস দেন। আমি যে আন্টির সাথে থাকতে শুরু করি তার সঙ্গেও ওই অভিনেতা সখ্যতা গড়ে তোলে। একটা সময় আমরা তিনজনে একসঙ্গেই থাকা শুরু করি। ওই ব্যক্তি আমার পরামর্শদাতা হয়ে উঠলেন। তবে ওই ব্যক্তি একদিন আন্টির সঙ্গে ঝগড়া করে তাকে বের করে দেন। আমার জিনিসপত্রসহ একটা ঘরে রেখে তালাবন্ধ করে রাখেন। ওই সময় তাকে বলেই আমাকে সবকিছু করতে হতো, একপ্রকার গৃহবন্দি হয়ে গিয়েছিলাম।
নিজের ব্যাপারে সবসময় খোলামেলা কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। অভিযোগ আনেন ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখার সময় এক অভিনেতা জোর করে তাকে মাদক নিতে বাধ্য করেন। কঙ্গনা দাবি করেন, ‘একদিন ওই অভিনেতা আমাকে একটি পার্টিতে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই সুযোগে উনি আমার সঙ্গে শারীরিক ভাবে ঘনিষ্ঠ হন। পরে হুঁশ ফিরলে বুঝতে পারি, নিজের ইচ্ছেয় ওর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হইনি আমি। আমার পানীইয়ে কিছু মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকে তিনি নিজেকে আমার স্বামীর মতো আচরণ করা শুরু করলেন। কিছু বললেই মারধর করতেন।
সিনেমায় সুযোগ পাইয়ে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিলেও ওই অভিনেতা তা পূরণ করেননি। বরং নিজের যোগ্যতায় তিনি সুযোগ পান বলিউডে। তা নাকি ওই অভিনেতা বিশ্বাসই করে উঠতে পারেননি। কঙ্গনার সাফল্যে ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেন তিনি। কঙ্গনার দাবি, তিনি যাতে শুটিংয়ে যেতে না পারেন তার জন্য ইনেজেকশন দিয়ে তাকে জ্ঞানহীন করে রাখতেন।