বোরহান মেহেদীঃ সৃজনশীল কাজকে বুকে ধারণ করে সময়ের সাক্ষী হয়ে কিছু মানুষ পৃথিবীত বিচরন করে, এমন কেউ কেউ চিরদিন অবহে’লিত থেকে যায়। এটি হয়তো তার ভাগ্যচ’ক্রের ফেরই বলা চলে।
এমনি একজন প্রকৃতিমনা নিবেদিত মানুষ হচ্ছে এই মোঃ জাকির উল্লাহ্। পিতামৃত কারী আহাম্মদ উল্লাহ্ এর ছেলে। বাড়ি নরসিংদীর পলাশে কর্তেতৈল গ্রাম। ফাজর উল্লাহ্ এক ছেলে এক মেয়ের জনক। তার পেশা ও নে’শা আকুপ্রেসার থেরাপিষ্ট চিকিৎসা। অ’ভাব অ’নটনের সংসারে বড় হয়েছে, মেধা বিকাশের সুযোগ তেমন হয়নি। তবে এই চীনা আকুপ্রেসার পদ্ধতির চিকিৎসা বিদ্যা তার পুরোটাই দখলে।
সে চায়না আকুপ্রেসার কিট ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে এই ন্যাচারাল পদ্ধিতে অ’সুস্হ্য রো’গীকে সহজে সুস্হ্য করে তুলছেন। তার কাছে যে সব চিকিৎসা নিতে রো’গী আসেন, তার বেশীর ভাগই হচ্ছে প্যা’রালাইসেস। শরীরের বিভিন্ন অ’ঙ্গের অ’বস ভাবকে তিনি আকুপ্রেশার মেসেজে সারিয়ে তুলেন।
জাকির উল্লাহ্ এর সাথে আলাপ করে জানা যায়, এই ধরনের রো’গীর সংখ্যা অনেক কিন্তু আমার চায়না পদ্ধতির বিধিবিধানে অনেকেই আশ্বস্ত হচ্ছেনা। এই চিকিৎসার মর্ম এখনো চীনের মতো বাংলাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা বা প্রচার লাভ করেনি। তা ছাড়াও বিনালাভে তিনি ডায়াবিটিস আ’ক্রান্তদেরও শরীর চর্চা ও খাবার নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে ডায়বিটিস থেকে রক্ষা পাবার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
এছাড়াও আকুপ্রেসার চিকিৎসক জাকির উল্লাহ্ মানব সেবা মুলক কাজ করে ফিরছেন নিত্য। নিজ গ্রামের বা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে গিয়ে জ’টিল রো’গী বা অ’সুস্হ্যেরর খোঁজ খবরে সময় কাটান। কখনো কখনো ঢাকায় নিয়ে গিয়েও যথাযত চিকিৎসা দিতে তাদের সহযোগিতার হাত বাড়াচ্ছেন। অনেক সরল ও মানবতার সেবক শুধু আকুপ্রেসার নয় মানুষের মুখ এবং হাত দেখেও রো’গ নির্ণয় করতে অভ্যস্ত। তার চোখের বিচক্ষন দৃষ্টি যেন রো’গীর কাছে এক মায়াময় মুক্তির ঠিকানা।
যেজন যে বিষয়ে সাধনা করে, সেটা নিয়ে একদিন সফলতা আসবেই। তার ধারনাও এমন বিশ্বাসে ব’ধ্যমুল। তাই আপন মনে কর্মকে ধ’র্ম মনে করে তার প্রত্যাশার পথে হাটছেন জাকির উল্লাহ্। কথার ফাঁকে দুঃ’খ করে বলেন, আমি সারাদিন এই চিকিৎসা নিয়ে ঘুড়ে বেড়াই। কিন্তু দিন শেষে যা মিলে তাতে পরিবারের ভরণ পোষণের মতো উপার্জণ হচ্ছেনা। কর্মব্যস্ততা থেকেও জীবিকা নির্বাহের মতো অর্থ যোগার হয়না, ফলে বড় হতা’শাতে ভুগতে হচ্ছে।