আলজাজিরার তথ্যচিত্রের অন্যতম চরিত্র আলোচিত সামির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা।
এরই মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রতারণামূলক কাজে অংশ নেওয়া, সেনানিবাসে নিষিদ্ধ হওয়াসহ নানা অপরাধে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সামি কখনো তানভীর সাদাত, কখনো সায়ের জুলকারনাইন, কখনো বা জুলকারনাইন সায়ের খান নামে প্রতারণাসহ বহু অপরাধে জড়িত ছিলেন।
কিশোর বয়সেই চুরিতে হাত পাকান সামি। ২০০০ সালের ৩০ জানুয়ারি ইসিবিতে কর্মরত মেজর ওয়াদুদের বিদেশ থেকে আনা ট্র্যাকস্যুট চুরি করে ধরা পড়েন সামি।
তখন তাঁর বয়স ১৭। ২০০০ সালের জুলাই মাসে টাইগার অফিসার্স মেস থেকে হাতির দাঁত চুরি করেন, পরে চট্টগ্রামের নিউ মার্কেটের অঙ্গনা জুয়েলার্সে বিক্রি করে ধরা পড়েন।
বাবার চাকরির সুবাদে নিজেকে কখনো সেনাবাহিনীর সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট, কখনো ক্যাপ্টেন হিসেবে পরিচয় দিতেন। ২০০১ সালের ২৮ ও ২৯ এপ্রিল ঢাকা সেনানিবাসে নিজেকে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পরিচয় দিয়ে প্রবেশ করেন।
যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বন্ধু উৎপলের কাছে নিজেকে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট প্রমাণের জন্য বেল্ট, বুট ও র্যাংক ইউনিফর্ম কেনেন। উৎপলের বাসা থেকেই সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম পরে ট্যাক্সি ক্যাব নিয়ে সেনানিবাসসহ রাপা প্লাজা ও চিড়িয়াখানা ঘুরে জাহাঙ্গীর গেট দিয়ে সিএমএইচে প্রবেশের সময় দুপুর ২টায় মিলিটারি পুলিশের (এমপি) হাতে ধরা পড়েন সামি। দুই দিন পর ২ মে বাবার অঙ্গীকারনামায় আর্মি এমপি ডেস্ক থেকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।