মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর গতকাল দেশটিতে সবেচেয়ে বেশি ৩৯ জন মারা যান। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছিলেন অসংখ্য বিক্ষোভকারী।
আহতদের মধ্যে সোমবার মারা গেছেন ৩২ জন। এ নিয়ে রবিবারের সহিংসতায় মোট মারা গেলেন ৭১ জন।
সোমবার যারা মারা গেছেন তাদের বেশিরভাগই রবিবারের বিক্ষোভে আইয়ারাবাদী ও পাথেইন অঞ্চলে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন।
রবিবার বিক্ষোভে ইয়াঙ্গুনের লাইংথাইয়া শিল্প এলাকাতেই নিহত হন ২২ জন। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে আরো ১৭ জন বিক্ষোভকারী প্রাণ হারান।
লাইংথাইয়া শিল্প এলাকায় চীনের অর্থায়নে পরিচালিত কয়েকটি কারখানায় রবিবার আগুন দেওয়া হয়। ওই এলাকা ধোয়ায় ঢেকে যেতে শুরু করলে বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে সেখানে ২২ জন নিহত হয়। যদিও কারখানা পোড়ানোর ঘটনায় দায় স্বীকার করেনি কোনো পক্ষ।
গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।
এরপর থেকে দেশটিতে চলছে অভ্যু্ত্থানবিরোধী বিক্ষোভ। ইরাবতি নিউজের তথ্য অনুযায়ী, চলমান এই বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ১৬৭ জন নিহত হয়েছেন।