তিনিওএস এম স্কুল এন্ড কলেজে আমাদেরকে ইংরেজি পড়াতেন। আমাদের সময় স্কুলে টার ছিল অন্যরকম একটা খ্যাতি। স্যারের সাথে আমার ছিলও একটা অন্যরকম সম্পর্ক।অনেকটা পিতা-পুত্রের মত ( কারণ স্যার আমার বাবার ইয়ারমেট)
সেই কবে কতোদিন আগে ছেড়ে এসেছি স্কুলটা; তারপর আর দেখা নেই স্যারের সাথে। পল্লীকবি যেমন বিচ্ছেদ শেষে তিরিশটা বছর চোখের জলে ডালিম গাছের তলাটা ভিজিয়ে রেখে হৃদয়ের মণিকোঠায় রেখেছিলেন একজনকে তদ্রুপ আমরাও তিরিশ নয় আরোও বেশিদিন পৌণে তিন যুগ ধরে বিচ্ছেদ হলেও ‘সাঁড়া মাড়োয়ারি উচ্চ বিদ্যালয়’ এবং তার শিক্ষকমণ্ডলী রয়েছেন আমাদের অন্তরে সদা জাজ্জ্বল্যমান হিসাবে।
কে জানতো তিন দিন আগের সেদিনই মান্নান স্যারের সাথে আমাদের শেষ দেখা। ফেসবুকেই দেখলাম এবং পরে মাইকিং শুনলাম আমাদের সেই মান্নান স্যার আজ আনুমানিক বেলা সোয়া বারোটার দিকে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।)
আজ বাদ আসর স্কুলের মাঠে অনুষ্ঠিত হবে স্যারের জানাজার নামাজ। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার জন্য স্যারের শেষ বিদায় দিতে পারছিনা রক্তাক্ত দুঃখের এবং কষ্টের বঞ্চিত হলাম স্যারের জানাজায় অংশ নেয়া থেকে। দূরে থেকেই আল্লাহর কাছে দোয়া করি আমাদের স্যার যেন হন বেহেস্তবাসী।
লেখকঃ সমিত জামান