মোঃইয়াসিন,সাভার প্রতিনিধিঃ ঢাকার অদূরে সাভারে একটি মাদ্রাসায় পাঁচ ছাত্রকে বেধরক পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষক শাহাদাৎ শিকদারকে আটক করেছে। এঘটনায় আহত শিক্ষার্থী মোঃ শাকিলকে (১৩) উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার(১৮মার্চ) বিকেলে সাভার পৌর এলাকার বিরুলিয়া রোডের আফসার কটন মিল সংলগ্ন সুলতানা প্যালেস ভবনে অবস্থিত আল-মাদ্রাসা হামিউস সুন্নাহ নামক প্রতিষ্ঠানে এ মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং মারধরের জড়িত থাকায় অভিযোগে মক্তব বিভাগের শিক্ষক শাহাদাৎ শিকদারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। তবে ঘটনার সাথে জড়িত আরও দুই শিক্ষক পলাতক রয়েছে।
আটক শাহাদাৎ শিকদার (২২) সাভারের আমিনবাজার বেগুনবাড়ী মহল্লার হাজী গুল মোহাম্মদের ছেলে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শাকিল পাবনা জেলার সুজানগর থানার কাশিনাথপুর গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে। সে রিক্সা চালক বাবা ও পোশাক শ্রমিক মায়ের সাথে পৌর এলাকার মজিদপুর মহল্লায় দুলাল মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থেকে ওই মাদরাসায় হেফজ্ খানায় পড়তো।
ভুক্তভোগী অপর শিক্ষার্থী জামাল হোসেন (১২)শরিয়তপুর জেলার সখিপুর থানার আগলাবাজার গ্রামের মোঃ মাইনুদ্দিনের ছেলে। সে বাবা-মায়ের সাথে সাভার পৌর এলাকার দিলখুসবাগ মহল্লার আক্কাস আলীর বাড়িতে ভাড়া থেকে আল-মাদ্রাসা হামিউসসুন্নাহ নামক প্রতিষ্ঠানের হাফেজি বিভাগে পড়াশুনা করতো।
এছাড়া অন্য তিনজনের পরিচয় জানা যায়নি। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর জামালের মা শাহানা বেগম বলেন, আমার ছেলে জামাল ওই মাদ্রসার হাফেজি বিভাগে পড়তো। সে ২৪ পাড়ার হাফেজ। শুনেছি বন্ধুদের সাথে দুষ্টামি করায় মক্তবের হুজুর ও নাজেরার হুজুর মিলে তাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় বেধরক পিটিয়ে আহত করেছেন। আমি এঘটনার জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
মাদরাসার প্রিন্সিপাল মামুনুর রশিদের কাছে মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অন্য ব্যক্তির কাছে মোবাইল ধরিয়ে দেন। কিন্তু ওই ব্যক্তি নিজের পরিচয় গোপন রেখে বলেন আমাদের মাদরাসায় এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। কিছু লোক মাদরাসার সুনাম নষ্ট করার জন্য মিথ্যে খবর ছড়াচ্ছে।
সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হামিদুর রহমান বলেন, মাদরাসা শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগে এক শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। এঘটনার তার পরিবারের সদস্যরা থানায় এসেছে। এঘটনায় মামলা দায়েরের পর ঘটনার সাথে জড়িত অন্য শিক্ষকদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হবে।